-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10435[/ATTACH]
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি খাতে বহুমুখী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে পোশাক খাত। চীন, ইউরোপ ও আমেরিকানির্ভর আমদানি রপ্তানি কমেছে। চীন থেকে এক মাসের ব্যবধানেই পণ্য আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ২৬ শতাংশ। বন্ধের পথে চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এরইমধ্যে পোশাক খাতে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি অর্ডার বাতিল হয়েছে।
-
করোনাভাইরাসের কারণে দেশীয় অর্থনীতিতে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তাতে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে অপ্রাতষ্ঠানিক খাতের ৫ কোটিরও বেশি শ্রমিক। যাদের একটি বড় অংশ এরই মধ্যে কাজ হারিয়েছে। বন্ধ হয়েছে আয়ের পথও। এমন অবস্থায় এই জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভিত্তিতে নগদ সহায়তা কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা...
-
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। উত্পত্তি চীনে হলেও বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাবের বড় ক্ষেত্র হলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির প্রধান গন্তব্য ইউরোপ ও আমেরিকা। ওই অঞ্চলগুলো বেশির ভাগই বর্তমানে অবরুদ্ধ ও ভোক্তারা ঘরবন্দি। এ পরিপ্রেক্ষিতেই ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে এর মধ্যে বড় কিছু ব্র্যান্ড ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত থেকে সরে এসেছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পোশাক খাতের বাতিল-স্থগিত ক্রয়াদেশের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। ১ হাজার ৫৯টি কারখানা বাতিল-স্থগিতের এসব তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংগঠন বিজিএমইএকে। তবে ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত করা কিছু ক্রেতা তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসতে শুরু করেছে। তারা বলছে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে নতুন কোনো ক্রয়াদেশ না দিলেও এরই মধ্যে দেয়া ক্রয়াদেশের পণ্য তারা আমদানি করবে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের বাতিল-স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশের মধ্যে ইউরোপের প্রাইমার্কের মতো বড় ক্রেতাদের পাশাপাশি আছে ছোট ও মাঝারি আকারের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ইউরোপ ও আমেরিকার কিছু ক্রেতা বলছে, তারা এরই মধ্যে কারখানায় দেয়া ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত করবে না। এসব ক্রেতা ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের পিভিএইচ, টার্গেট। আবার ইউরোপের ক্রেতা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, স্পেনভিত্তিক ইন্ডিটেক্স, ফ্রান্সের কিয়াবি, সুইডেনের এইচঅ্যান্ডএম।
-
1 Attachment(s)
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় নতুন ৪টিসহ মোট ৫টি প্যাকেজে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা ও মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি এ চারটি কার্যক্রম নিয়ে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। কর্মপরিকল্পনার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় এ টাকা দেওয়া হবে।
[ATTACH=CONFIG]10549[/ATTACH]
করোনা সংকটে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ক্রয়াদেশ বাতিলের মুখে পড়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে আগামী ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিত্যপণ্য ও ওষুধ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের তেমন কোনো ক্রেতা থাকবে না। ১০ এপ্রিল সবকিছু খুলবে কি না, সেটাও এখনই হলফ করে বলা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ব্যবসা বড় ধরনের সংকটে পড়ে গেছে। এতে বিপাকে বেসরকারি খাতের শ্রমিক–চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, হকার, রিকশা–অটোরিকশাচা ক ও শ্রমজীবী মানুষেরা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলো যেহেতু এখন ভালো আয় করতে পারবে না, সেহেতু বেতন বিলম্বে হতে পারে। কেউ কেউ বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটির মুখেও পড়তে পারেন। কেউ কেউ চাকরি হারাতে পারেন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/152623862.jpg[/IMG]
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে গিয়েছে পুরো পৃথিবী। স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। মন্দার ঘোর অমানিশার আশঙ্কায় বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বেশকিছু দেশ এরই মধ্যে প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো সংকটকালে বাড়তি অর্থ সরবরাহের মাধ্যমে অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করা। বাংলাদেশেও সাড়ে ৯৫ হাজার কোটি টাকার নানা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর পাশাপাশি দেশে অপ্রদর্শিত হিসেবে থেকে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থকেও যদি অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসা যায়, সেক্ষেত্রে তা আসন্ন অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10670[/ATTACH]
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে যে অবরুদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ১ লাখ ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি (অনুমিত) হবে। আর অবরুদ্ধ পরিস্থিতি মে মাস পর্যন্ত চললে ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি হতে পারে। এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে দেশে ক্ষতির পরিমাণ প্রতিদিন ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।গবেষণায় বলা হয়েছে, কৃষির প্রধান উপখাত হলো শস্য উৎপাদন, প্রাণিসম্পদ এবং মৎস্যসম্পদ। স্বল্প মেয়াদে এসব উপখাতে উৎপাদন না কমলেও দেশি ও বিদেশি অর্থনীতি অবরুদ্ধ থাকার ফলে উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্যের ওপর নিম্নমুখী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর ফলে অর্থনীতিতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। গবেষণার হিসাব বলছে, শিল্প, বিশেষ করে উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে ক্ষতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ খাতে প্রতিদিনের অনুমিত ক্ষতি ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। সেবা খাতে প্রতিদিনের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি। এ খাতের অনুমিত ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10678[/ATTACH]
করোনাভাইরাস মহামারীর অভিঘাতে রেমিটেন্সের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যেও বড় ধস নেমেছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি আয়ে কোভিড-১৯ এর তেমন প্রভাব পড়েনি। মার্চ থেকে পড়তে শুরু করেছে। মার্চের প্রথম দিকে কিছু রপ্তানি হলেও শেষের দিকে একেবারেই কমে এসেছে। এপ্রিলে তো বড় ধস নেমেছে। সর্বশেষ মার্চ মাসে ২৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ কম। আর চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) হিসাবে রপ্তানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
-
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। রপ্তানি হচ্ছে খুব কম। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও টাকা পাঠাচ্ছেন সামান্য। এ সময়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি সচল রাখতে নানা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। পুরাতন আমদানি দায় মেটাতে সাধারণ ছুটির মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংককে ২০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করতে হয়েছে। এমন সংকটের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/763965000.jpg[/IMG]
জানা গেছে, সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার কিছু ঋণ এসেছে। এর বাইরে জাতিসংঘ থেকে সামান্য কিছু অনুদান দেওয়া হয়েছে। ফলে ডলার বিক্রির মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩৩ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০১৭ সালের ২২ জুন। তবে মাস দুয়েক পর তা আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে। এ বছরের শুরুতে চীনসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে আমদানি ব্যাপক কমে যায়। তবে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকায় ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর উদ্বৃত্ত ডলার জমা হয়। সে সময়ে ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনায় গত ১ মার্চ রিজার্ভ আবার ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। তবে দু-একদিন না যেতেই রিজার্ভ আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ঋণ ও অনুদান এলেও মূলত আমদানি কমায় রিজার্ভ বেড়েছে। এটা ভালো। সংকট শেষ হলেই আবার ডলারের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। কেননা আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। সংকট-পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে ডলারের দরকার হবে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/433876496.jpg[/IMG]
ইকোনোমিস্ট পত্রিকা যে চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই মূল্যায়নটি করেছে তা হলো- দেশীয় দেনা, বিদেশি দেনা ঋণের ব্যয় পরিশোধের মাত্রা এবং রিজার্ভের পরিস্থিতি। সেই বিচারে বাংলাদেশ ৬৬টি উদীয়মান দেশের ভেতরে নবম স্থানে রয়েছে যা বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক, কিন্তু ভবিষ্যৎতে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রচণ্ড ঝুঁকি আছে। কেননা রপ্তানিতে ধস নেমেছে, রেমিটেন্সে ধস নেমেছে। সুতরাং আর্থিক বহির্খাত বড় সমস্যায় এবং আভ্যন্তরীণ উৎপাদন, পরিবহন ইত্যাদি ব্যাহত হচ্ছে। নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মারাত্মকভাবে আমাদের অর্থনীতি নিরাপদ নয়, আমাদের ক্ষতি অনেক হয়ে গেছে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। উৎপাদন এবং কনজাম্পশন যদি চালু করে দেওয়া যায় তাহলে ক্ষতি অতটা মারাত্মক হবে না। অলরেডি চার থেকে ৫ লাখ লোককে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চলে আসতে হবে। এতে করে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাবে। এতে করে ফরেন রিজার্ভ কমে যাবে। তখন ডলারের দাম বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে সবকিছু মিলিয়ে দুর্বল অর্থনীতির দিকে যাবে দেশ।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]11017[/ATTACH]
করোনাভাইরাস মহামারীতে পণ্য রপ্তানিতে ধস নামার পর এবার আমদানিও নেমেছে তলানিতে; যা বিনিয়োগে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যার ফল হবে কর্মসংস্থান কমে যাওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য মাত্র ১৬০ কোটি (১.৬ বিলিয়ন) ডলারের ঋণপত্র (এলসি) খুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
এই অঙ্ক গত বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে ২৬৮ শতাংশ কম। আর গত মাসের চেয়ে কম ২৬৩ শতাংশ। গত বছরের এপ্রিল মাসে ৫২৬ কোটি (৫.২৬ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর গত মার্চ মাসে এলসি খোলা হয়েছিল ৪৯৭ কোটি ডলারের। গত মার্চ মাসেই করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশে দেশে লকডাউন ঘোষণার পর বিশ্বের অর্থনীতিতে নেমে আসে স্থবিরতা। এই পরিস্থিতি বিশ্বকে আরেকটি মহামন্দার দিকে টেনে নিচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।