-
একদিকে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রকোপ, অন্যদিকে জ্বালানির বাজারে সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে আকস্মিক মূল্যযুদ্ধ—এ দুয়ের যুগপত্ সংক্রমণে টালমাটাল হয়ে পড়ে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার। গত ৯ মার্চ ভয়াবহ এক ধসের মুখে পড়ে বৈশ্বিক পুঁজিবাজার, ডাও জোনস ও এসঅ্যান্ডপি-৫০০ উভয় সূচকই প্রায় ৮ শতাংশ হারে পয়েন্ট হারিয়েছিল। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির এই ব্ল্যাক মানডেতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলিয়নেয়ারের নয়জনই সম্মিলিতভাবে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।
-
করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এ কারণে চলতি বছর ইউরোপের প্রবৃদ্ধির হার শূন্যেরও নিচে নেমে যেতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সম্প্রতি এমনই আশঙ্কার কথা জানায়।*ইইউয়ের কার্যনির্বাহী শাখা ইউরোপিয়ান কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চলতি বছর ইউরো জোন এবং ইইউয়ের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির হার কমে শূন্যে নেমে আসতে পারে। এমনকি চূড়ান্ত পরিসংখ্যান শূন্যেরও নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ এদিকে, করোনার প্রভাব থেকে ইউরোপের অর্থনীতিকে রক্ষায় গত শুক্রবার একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানায় ইইউ। বিশেষ করে, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ইতালিকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রধান।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10648[/ATTACH]
বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ২০১৯ সালটি কিন্তু খুব ভালো ছিল না। মন্দার আশঙ্কা নিয়ে পুরো বছরটি কেটেছে। আর এর প্রভাবে অর্থবছরের প্রায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ছিল মন্দায়। একই অবস্থা ছিল আমদানির ক্ষেত্রেও। রাজস্ব আদায় পরিস্থিতিও খুব স্বস্তিদায়ক ছিল না। এ কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছিল। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহও ছিল বেশ কম। সব মিলিয়ে অর্থনীতির গতি যে শ্লথ হয়ে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত ছিল প্রায় সব সূচকেই। আর ব্যাংক খাততো দুর্বল অনেক আগে থেকেই। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল প্রবাসী-আয়। ‘অর্থের সন্ধানে মরিয়া সরকার’ বা ‘একটি ছাড়া অর্থনীতর সব সূচকই নিম্নমুখী’-এসবই ছিল বিভিন্ন সংবাদের শিরোনাম। এ রকম এক অবস্থায় করোনার আঘাত। মহামারি কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়েই অর্থনীতির মহামন্দা নিয়ে আসছে।এ রকম এক সময়ে অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও জিডিপির কথা পুরোপুরি ভুলে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো। জিডিপি কত হরে এই বিতর্ক এখন একেবারেই অহেতুক। বরং বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের এই প্রাক্কলনকে সতর্কবার্তা হিসেবে নেওয়াটাই অর্থনীতির জন্য ভালো। মনে রাখা দরকার পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ, এক দশকের অর্জন মুছে যাওয়ার উপক্রম, দারিদ্র্য পরিস্থিতি উন্নতির যে ধারায় দেশ এসেছিল তাও হয়তো আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। এই মুহূর্তের প্রথম কাজই হচ্ছে জীবন বাঁচানো, আর জীবিকা বাঁচানো। আর এ দুটো করা গেলে জিডিপিও বাড়বে। সারা বিশ্ব এখন এ কাজটিই করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/519293166.jpg[/IMG]
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা এখন স্পষ্ট যে ১৯৩০-এর দশকের মহামন্দার পর সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার সামনে দাঁড়িয়ে পৃথিবী। এটা এক দশক আগের অর্থনৈতিক সংকটকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই লকডাউন বিশ্বের প্রবৃদ্ধি নাটকীয়ভাবে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলছেন, এই সংকটে বিশ্ব আগামী দুই বছরে ৯ ট্রিলিয়ন ডলার (৯ লাখ কোটি ডলার) প্রবৃদ্ধি হারাবে। এই অঙ্ক জার্মানি ও জাপানের মতো দুই শিল্পোন্নত দেশের মোট জিডিপির পরিমাণের চেয়েও বেশি। গত জানুয়ারি মাসেও আইএমএফ এ বছর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করেছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের দেশগুলোতে যে অবরুদ্ধ অবস্থা তৈরি হয়েছে তার ফলে আরেকটি মন্দার দিকে চলে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। শতাব্দীকাল আগের সেই মহামন্দার পর এই প্রথম বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো একসঙ্গে মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে। এক দশক আগের মন্দার পর ২০০৯ সালে বিশ্বে অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছিল, যা ছিল, মহামন্দার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি। এবার তা হতে যাচ্ছে ৩ শতাংশ।
-
করোনার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে যে লক ডাউন শুরু হয়েছে তাতে সব দেশের অর্থনৈতিক সব ধরনের কর্ম কান্ড ধেমে গেছে বলেই ধরা যায়। এটার প্রভাব আসলে অনেক দিন ধরেই রয়ে যাবে। বিশ্বের সব দেশের সাথে সাথে এটা আমাদের বাংলাদেশেও বেশ জোড়ালো প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ এমনি ই অর্থনৈতিক ভাবে খুব একটা সচ্ছল দেশ নয় এখন চলমান অবস্থার কারনে আরো সমস্যা হবে দেশে।
-
2 Attachment(s)
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের ছোবলে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। নতুন এই ভাইরাস একদিকে যেমন কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণ, অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে খাদের কিনারে, যার জের টানতে হতে পারে লম্বা সময় ধরে। অর্থনীতিকে কতটা ধসিয়ে দিয়ে যেতে পারে করোনাভাইরাস, তার একটা আভাস কয়েকদিন আগেই দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমফ)। সংস্থাটি বলছে, গত কয়েক দশকের মধ্যে বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের কারণে যেভাবে ডুবতে বসেছে, তাতে এবছর বিশ্ব অর্থনীতি মাত্র ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখতে পারবে। সেখানে এশিয়ার অবদান শূন্য। অর্থাৎ এ বছর এশিয়ার অর্থনীতিতে কোনো প্রবৃদ্ধিই হবে না। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ বলেছেন, এই সঙ্কটের কারণে আগামী দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নয় লাখ কোটি ডলার কমে যেতে পারে।
[ATTACH]10676[/ATTACH]
আইএমএফের দৃষ্টিতে, ১৯৩০ এর দশকের মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হলে অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে বড় ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করে আইএমএফ।
[ATTACH]10677[/ATTACH]
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সর্বশেষ বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে (ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক) সঙ্কট মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপের প্রশংসা করা হলেও কোনো দেশই অবনতি ঠেকাতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে যদি মহামারী কিছুটা কমে আসে, সেক্ষেত্রে আগামী বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10946[/ATTACH]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার পথে বিশ্ব অর্থনীতি! কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে। ফলে চলতি ২০২০ সালে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। তবে পরের বছরেই অর্থাৎ ২০২১ সালেই বৈশ্বিক জিডিপি ঘুরে দাঁড়াবে। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক বিনিয়োগ ও আর্থিক সেবাদাতা বহুজাতিক কোম্পানি মরগ্যান স্ট্যানলি এমন আশা-নিরাশার কথা শুনিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে, মানে কোনো প্রবৃদ্ধি হবে না। কিন্তু ২০২১ সালে তা আবার চাঙা হয়ে উঠবে এবং প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। তাতে আগামী বছর ভারত হবে এশিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। ভারতের সামনের বাকি তিনটি দেশ হবে চীন ৯ দশমিক ২ শতাংশ, মালয়েশিয়া ৯ দশমিক ৬ শতাংশ ও ফিলিপাইন ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম বিশ্ব সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে। তবে নীতিমালা শিথিল করার সুবাদে বিভিন্ন দেশের জিডিপি দ্রুতই আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
-
1 Attachment(s)
তিন মাসে বিশ্ববাণিজ্য ৩ শতাংশ কমেছে
[ATTACH=CONFIG]10985[/ATTACH]
চলতি ২০২০ সালের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি–মার্চে কোভিড–১৯ বা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববাণিজ্য ৩ শতাংশ কমেছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক এপ্রিল–জুনে বাণিজ্যে রীতিমতো ধস নামবে। প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাণিজ্য তো ২৭ শতাংশ কমতে পারে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের। াতিসংঘের বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত সংস্থা আঙ্কটাডের (ইউনাইটেড নেশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এক প্রতিবদেনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি ৩৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ প্রতিবেদন।
প্রতিবেদন মতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর রপ্তানি করা প্রাথমিক পণ্যের দাম জানুয়ারি যেখানে কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ, সেখানে ফেব্রুয়ারিতে তা কয়েক গুণ বেড়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আর মার্চে তা ২০ দশমিক ৪ শতাংশে উঠে গেছে।তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামের কারণেই মূলত পণ্যের দাম কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন মার্চে তেলের দাম ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হারে সংকোচন ঘটবে। কারণ গত শতকের ত্রিশের দশকের মহামন্দার পর এবারই কোভিড–১৯ মহামারি বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে স্থবির করে ফেলেছে এবং চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে,*করোনা মহামারির কারণে দক্ষ ব্যক্তিদের তুলনায় কম দক্ষ ও কম মজুরি পাওয়া ব্যক্তিরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ কারণে দেশে দেশে আয়বৈষম্য আরেক দফা বাড়বে।
-
২০১৯-২০ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ৩ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রান্তিক প্রবৃদ্ধি। গত সপ্তাহে প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। যেমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছিল তা-ই সত্যি হলো। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে বড় ধাক্কা খেল ভারতের প্রবৃদ্ধি। গত প্রান্তিকে যেখানে ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত আট বছরের মধ্যে এ রকম গভীর সংকটের মুখোমুখি হতে হয়নি ভারতীয় অর্থনীতিকে। আগামী দিনে যে আরো খারাপ সময় আসতে চলেছে, তা পূর্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছে। এতে বিড়ম্বনা বাড়ল নরেন্দ্র মোদি সরকারের। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরো সহায়তা প্যাকেজের দাবি উঠেছে। সরকারি এ ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দিনেও সরকারের উপরে প্রণোদনা প্যাকেজের দাবি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঋণে সুদহার কমানো নিয়ে বেশ চাপের মুখে পড়তে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (আরবিআই)।
-
বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে সম্প্রসারণের পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিক নাগাদ অর্থনৈতিক উৎপাদন করোনা-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যেতে পারে। মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান মরগান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদরা এমন পূর্বাভাস জানিয়েছেন। খবর ব্লুমবার্গ।
প্রতিষ্ঠানটির একদল অর্থনীতিবিদ তাদের মিড-ইয়ার আউটলুক রিসার্চ নোটে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে প্রবৃদ্ধির তথ্যে আশ্চর্য উত্থান ও ইতিবাচক নীতিগত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা দেখে ভি-শেপ রিকভারির বিষয়ে আমাদের আস্থা আরো জোরালো হয়েছে।’ বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি বছর বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি অর্থনীতিকে মন্দায় পড়তে হতে পারে। স্বল্প সময়ের জন্য কিন্তু বড় ধরনের সংকোচনের পূর্বাভাস জানিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক জিডিপিতে বছরওয়ারি ৮ দশমিক ৬ শতাংশ পতন দেখা যেতে পারে। তবে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক নাগাদ প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।