-
1 Attachment(s)
[ATTACH]11027[/ATTACH]
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গেলো তিন মাসে ৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ইস্পাত ও রড নির্মাণ শিল্পে। ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন চললে ক্ষতির পরিমাণ ৬ গুণ বেড়ে যাবার হবার শংকা উদ্যোক্তাদের। এ অবস্থায় আগামী বাজেটে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে শুল্ক সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে স্টিল ম্যানুফ্যাচারারস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়*।
-
করোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে ৫ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে এসেছে। সবমিলে করোনায় স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকির মুখে পড়েছে ১০ কোটির বেশি মানুষ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক, ডেটা সেন্স এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের এক যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের নগদ সহায়তা দিতে আসছে বাজেটে সার্বজনীন বেকারত্ব সহায়তা ভাতা চালু এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে এ খাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্র্যাক...
-
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমদানি-রপ্তানি একপ্রকার থেমে গেছে বলা যায়। প্রায় একই অবস্থা আমাদের দেশেও। আগে থেকেই যে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছিল তা আরো প্রকট হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রথম আট মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা। রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। অর্থবছরের শেষ চার মাসে অবস্থা আরো খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে প্রথমে চীনে এবং পরবর্তীতে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। আর এতে লকডাউনে পড়ে গোটা বিশ্বে বাণিজ্যিক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ফেব্রুয়ারির পরে ব্যাপকহারে কমেছে। অন্যদিকে কমে গেছে রেমিট্যান্সের পরিমাণও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সে হিসেবে ফেব্রুয়ারির শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯১ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২০ দশমিক ০৭ শতাংশ।
দেশের অর্থনীতির এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানির জন্য বিকল্প বাজার ও পণ্যের বহুমুখীকরণ করা দরকার বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, অন্য দেশের মুদ্রার সঙ্গে দেশীয় মুদ্রার মান ভালো অবস্থায় রয়েছে। বিশ্ববাজারে তেলের দামও কমছে। এসব ইতিবাচক বিষয়গুলো মাথায় রেখে আর্থিক নীতি ঠিক করতে পারলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান আর্থিক সংকট কাটাতে বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়াতে হবে। এজন্য যেসব দেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। আর আমাদের বৈদেশিক ব্যবসার ক্ষেত্রে পশ্চিমা নির্ভরতা কমিয়ে অন্যদিকে এর প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ না নিলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নামবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/570598573.jpg[/IMG]
-
করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেই প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এখানেও প্রায় তিন মাস যাবত লকডাউনে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্র স্থবিব হয়ে পড়েছে। থেমে গেছে একেবারে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন যাত্রা। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য ব্যাপক সমস্য দেখা যাচ্ছে। যদি এভাবে আরো কয়েকমাস চলতে থাকে তাহলে সমস্যা প্রকট আকার ধারন করতে পারে।
-
1 Attachment(s)
করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি তিন মাস স্থবির থাকার পরও, জিডিপি'তে সোয়া পাঁচ ভাগ প্রবৃদ্ধিতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে খাতভিত্তিক প্রবৃদ্ধির অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। যদিও পরিকল্পনামন্ত্রী বলছেন, সাময়িক এই হিসেবে করোনার প্রভাব বিবেচনায় নেয়া হয়নি.
[ATTACH=CONFIG]11913[/ATTACH]
-
কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি রীতিমতো কাঁপছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এক চীন ছাড়া সব বড় অর্থনীতিই সংকুচিত হয়েছে। এদের মধ্যে ভারতের সংকোচন হয়েছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। কোভিডের প্রভাব তো আছেই, ভারতীয় অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলছেন, মহামারি কীভাবে সামলানো হয়েছে, তার ওপরও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ভর করছে। বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ দশমিক ১২। অর্থনীতিও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। গত দুই মাসে রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। দেশে জিডিপির ত্রৈমাসিক হিসাব করা হয় না। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ তিন মাস সাধারণ ছুটির মধ্যে পড়লেও সেবার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, যদিও এই পরিসংখ্যান নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও বোদ্ধা মহলের আপত্তি আছে।কোভিড নিয়ন্ত্রণে দেশে সমন্বিত ব্যবস্থা না থাকলেও ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই), মাস্ক প্রভৃতির রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশই আসে এই তৈরি পোশাক খাত থেকে।
এ সময় দরকার যথাযথ নীতি। অর্থনীতিকে আরও প্রণোদনা দিতে হবে। সব প্রতিভাবান মানুষকে এক ছাদের নিচে আনা হলে যথাযথ নীতি প্রণয়ন করা যাবে।
-
মার্চের শুরুতে দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হলে একের পর এক ক্রয়াদেশ হারাতে থাকেন তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারকরা। পরে পরিস্থিতি কিছুট স্বাভাবিক হলে জুন নাগাদ ক্রয়াদেশ ফিরে পেতে শুরু করেন তারা, যার প্রতিফলন ঘটে জুলাইয়ের রফতানি চিত্রে। কিন্তু প্রথম ঢেউয়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ফের আঘাত হেনেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যার প্রভাবে এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ কমেছে তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশ। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের স্থবিরতা কাটিয়ে জুন মাস নাগাদ ক্রয়াদেশ পেতে শুরু করে দেশের রফতানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু অক্টোবরেই আবারো পতন হয় রফতানিতে। মূলত পশ্চিমা দেশগুলোতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় ক্রেতারা ক্রয়াদেশের লাগাম টেনে ধরতে শুরু করেছেন। শীতের মৌসুমকে কেন্দ্র করে ক্রয়াদেশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা থাকলেও পোশাক রফতানিকারকদের সেই আশায় এখন গুড়ে বালি। শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর এক জরিপে দেখা গেছে, কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে পোশাকের ক্রয়াদেশ কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ। যদিও এ জরিপে পোশাক খাতের সব মালিকের সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1380163354.jpg[/IMG]
-
বিশ্বের যে কোনো দেশের থেকে কম দামে করোনার টিকা কিনছে বাংলাদেশ। এমন দাবী করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড আবিস্কৃত টিকা কিনতে সরকার যে দরে চুক্তি করেছে তা সামনে আরও কমতে পারে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির মিট দ্যা প্রেস আয়োজনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা জানান। বলেন, জনগনের করের টাকার সঠিক ব্যবহারের স্বার্থেই প্রণোদনার ঋণ যাচাই বাছাই করে ছাড় করা হচ্ছে।