1 Attachment(s)
বাংলাদেশের কারেন্সি টাকার ইতিহাস!
বাংলাদেশের কারেন্সির নাম টাকা। টাকা শব্দটি সংস্কৃত “টঙ্ক” শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে যার অর্থ রৌপ্যমুদ্রা। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের মুদ্রার নাম টাকা রাখে। পরবর্তীতে টাকার সংকেত ৳ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭২ সালে ৫, ১০ ও ১০০ টাকা মূল্যের নোট ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালে প্রথম ৫০ টাকার নোট, ১৯৭৭ সালে ৫০০ টাকা ও ১৯৮০ সালে প্রথম ২০ টাকার নোট ঘোষণা হয়। ১০০০ মূল্যমানের প্রথম নোট আসে ২০০৮ সালে।টাকা টাকা টাকা, টাকা ছাড়া দুনিয়াটা ফাকা।১, ২, ৫ টাকার নোট বা কয়েন হলো সরকারি মুদ্রা। আর বাকী গুলো সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।এটা সবাই জানে বর্তমানে এক ডলারে প্রায় ৮৫ টাকা হয়। ১৯৪৭ সালের দেশে বিভক্তের আগে টাকা/রুপি ও ডলারের মান সমান ছিল। কালের বিবর্তনে টাকা দূর্বল হয়ে গেছে। ১৯৮০ সালের ১ টাকার ভ্যালু বর্তমানের ১৩ টাকার সমান। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশের কি পরিমান টাকা আছে???উত্তর হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে ২০১৯ সালে সমগ্র দেশে ১ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকা আছে। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার কোটি টাকা। তো এই সমস্ত টাকার ৯০% হলো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট। আর বাকী ১০% হলো ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ টাকার নোট। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। আর এই রিজার্ভ ৭ টা কারেন্সি + গোল্ডে আছে।মজার বিষয় হলো বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো থেকে সর্বমোট ঋনের পরিমাণ হলো ১০ লক্ষ কোটি টাকা। এর মানে সবাই এক সাথে ব্যাংকের টাকা উঠালে ব্যাংক ১৫% টাকা দিতে পারবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন টাকা কি পরিমাণে দৌড়ায়। একজনের পকেট থেকে আরেক জনের পকেটে যায়। যার ফলে সরকারের এত টাকা ছাপাতে হয় না। সংক্ষেপে ১ টাকার ভ্যালু ১০ টাকার সমান বা ১০ জন ঐ একই টাকার পিছনে ছুটে। যেমন আপনার যেটা আয় সেটা আরেক জনের ব্যায় আবার আপনার যেটা ব্যায় সেটা আরেক জনের আয়। এই ভাবেই টাকা সার্কেলের মতো ঘোড়ে।
[ATTACH=CONFIG]12339[/ATTACH]