-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1962667131.gif[/IMG]
এক সপ্তাহের বেশি সময় আলোচনার পর প্রায় অর্ধট্রিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় নভেল করোনাভাইরাস ত্রাণ পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। অনুমোদনকৃত এ প্রকল্পের অর্থ দিয়ে চলমান মহামারীকালে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়া দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসা, রোগীর চাপে বিপর্যস্ত হাসপাতাল ও দেশব্যাপী ভাইরাস পরীক্ষায় সহায়তা করা হবে। মার্কিন সরকারের সর্বশেষ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগানের উদ্দেশ্য হলো দেশটির বিপদাপন্ন অর্থনীতিকে রক্ষা করা। কারণ কভিড-১৯ সংক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ওপর অকল্পনীয় আঘাত হেনে চলেছে। দেশটিতে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। সর্বোপরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় চাকরি হারিয়েছে দেশটির ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10767[/ATTACH]
মার্কিন যুক্তরাষ্টে লকডাউন উঠে যাবার আভাসে আজ থেকে মার্কিন শেয়ার মার্কেট আবারও চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। ডো জোনস ৩০ মিনিট এর ব্যবধানে 1.0% শতাংশ বেড়ে প্রায় 237 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নাসডাক 1.2% শতাংশ বেড়ে 100 পয়েন্ট বেড়েছে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10780[/ATTACH]
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে অভাবনীয় আঘাত হেনেছে বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস। সংকট থেকে বাঁচতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার। বিশেষ করে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের সরকারি সহায়তা প্যাকেজ খানিকটা হলেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। একই সঙ্গে এ প্যাকেজের আওতায় নাগরিকদের প্রদান করা হচ্ছে নগদ অর্থ। মোট ১৫ কোটি মানুষকে দেয়া হবে ১ হাজার ২০০ ডলার করে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/747265279.jpg[/IMG]
বিশ্বব্যাপী সামষ্টিক অর্থনীতিকে মারাত্মক চাপে ফেলে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মহীনতা এখন তিরিশের মহামন্দার পর সর্বোচ্চে। সংকট ঠেকাতে গৃহীত প্রণোদনামূলক পদক্ষেপগুলো যে পরিমাণে আর্থিক ঘাটতি সৃষ্টি করছে, সেটাও এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয়াবহ মহামন্দা এবং ঋণ সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এখনই এতটা আশঙ্কার কিছু নেই।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ ও তুলনার অতীত। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি যদি পুরনো প্রবৃদ্ধির ধারা বা হারে ফিরে আসতে না পারে, সেক্ষেত্রেও সামষ্টিক অর্থনীতিতে কাঠামোগত দীর্ঘমেয়াদি সংকটের ছাপ রেখে যাবে নভেল করোনাভাইরাস। কিন্তু সামষ্টিক অর্থনীতিতে মহামন্দা বা ঋণ সংকটের মতো কাঠামোগত ধস নামার বিষয়টি এখনো অনেক দূর।
এক্ষেত্রে যে বিষয়টির দিকে আলোকপাত জরুরি, সেটি হলো মূল্য স্থিতিশীলতা, যা সামষ্টিক অর্থনীতিতে অনুকূল ফলাফল তুলে আনার চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত। যেকোনো মন্দা বা ঋণ সংকটের একটি লক্ষণ হলো অতিমাত্রায় মূল্য সংকোচন বা মূল্যস্ফীতি, যার ধারাবাহিকতায় অর্থনীতির স্বাভাবিক উপাদানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। গত ৩০ বছরে মার্কিন অর্থনীতিতে তুলনামূলক নিম্ন ও স্থিতিশীল মাত্রার মূল্যস্ফীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এর কারণে সুদহার কমিয়ে রাখা গেছে, বিজনেস সাইকেল দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং সম্পদের মূল্যায়নও হয়েছে বাড়তি মাত্রায়। কিন্তু যদি মূল্য স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে অর্থনীতিতে এর ফলাফল হবে সুদূরপ্রসারী।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]11016[/ATTACH]
নতুন করে প্রকাশিত অর্থনৈতিক উপাত্ত বলছে, সব ক্ষেত্রেই গভীর সংকটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। এমনকি নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে আরোপিত লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেয়া শুরু হলেও দেশটির অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবার প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে শিল্প উৎপাদনের যেমন রেকর্ড পতন হয়েছে, তেমনি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটির অর্থনীতির জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ খুচরা বিক্রি খাত। মূলত বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য খাতে অভাবনীয় সংকট সৃষ্টি করেছে। আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছে ৮৬ হাজারের মতো মানুষ। অন্যদিকে ভাইরাস প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপ দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে কার্যত বিবশ করে তুলেছে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বেকারত্ব। কয়েক মাস আগেও যেসব মার্কিন নাগরিক নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখছিলেন, তারা এখন বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন করেছেন ৩ কোটি ৬৫ লাখ আমেরিকান। লকডাউন ঘোষণার পর মধ্য মার্চ থেকে প্রতি সপ্তাহে এ আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে বৈ কমছে না, যা দেশটির অর্থনীতির দুরবস্থারই প্রতিফলন।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1135209880.gif[/IMG]
মার্কিন অর্থনীতি মজবুত ছিল, নভেল করোনাভাইরাস বদলে দিল সবকিছু। কেউই হয়তো কল্পনা করতে পারেনি যে বেকারত্ব ২০ শতাংশ কমে যাবে এবং জিডিপিতে ৪০ শতাংশ অবনমন ঘটবে। এখন এটাই ঘটছে, পরিস্থিতি এখন এমনই করোনায় ডুবছে মার্কিন অর্থনীতি! যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বাড়ছে নজিরবিহীনভাবে। পতন ঘটেছে জিডিপিতে। করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক মন্দায় পড়বে দেশটি। অক্সফোর্ড ইকোনমিকস বলছে, ভয়াবহ মন্দা তৈরি না হলেও অর্থনীতি এখন বেশ খারাপ অবস্থার মধ্যেই রয়েছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/148482131.gif[/IMG]
গত মার্চে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ যত বেড়েছে, মার্কিন অর্থনীতি ততই পতনমুখী হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় সংকটে পড়েছে একের পর এক করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তাদের ব্যয়সংকোচন নীতির কোপ গিয়ে পড়েছে কর্মসংস্থানে। ফলে চাকরি হারিয়েছে কোটি কোটি মার্কিনি। পরিস্থিতি এখন পাল্টেছে। মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে হতাশা ভাব এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর পরই তা কমতে শুরু করে। এখন দলমত নির্বিশেষে সব গ্রুপের মানুষেরই অর্থনীতি নিয়ে আস্থা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। যদিও এখনো কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে কিংবা তাদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে এবং ব্যাংকঋণে খেলাপির পরিমাণও বাড়ছে।
-
1 Attachment(s)
চলতি সপ্তাহে usd এর সম্ভাব্য মুভমেন্ট :
চলতি সপ্তাহে আমেরিকান ডলারের ইনফ্ল্যাশন রিলেটেড নিউজ সিপিআই, কোর সিপিআই, পিপিআই, কোর পিপিআই রিপোর্ট পাবলিশড হবে। তাছাড়াও চলতি সপ্তাহে ফেডারেল ফান্ড রেট, এফওএমসি স্টেটমেন্ট, ইকোনোমিক প্রোজেকশন এবং এফওএমসি প্রেস কনফারেন্স এর মত মহা গুরুত্বপূর্ণ নিউজ রিপোর্ট পাবলিশড হবে। ব্যাংক রেট ফোরকাস্ট আগের মতই রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে এনএফপি তথা লেবার মার্কেট নিউজ মোটামুটি ভালো ছিলো। তবে গতকালকের ব্লুমবার্গের একটা নিউজে দেখলাম আরো বেশ কিছু সংখ্যক নতুন জব রিভাইজড হিসেবে এড হয়েছে, যা কিনা আমেরিকান ডলারের জন্য খুবই পজেটিভ।
চলমান করোনা সংকট তীব্র আকার ধারন করা সহ, পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুতে আমেরিকাতে দাঙ্গা বড় আকারে ছড়িয়ে পড়া, নিয়মিতভাবে ইকোনোমিক্যাল ইভেন্টগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার কারনে আমেরিকান ডলার ইনডেক্স টানা পড়তির মুখে আছে। ডেইলি চার্টে আমরা দেখতে পাচ্ছি ডলার ইনডেক্স ডাউন হয়ে গত মার্চের শক্তিশালী সাপোর্ট 96.40 এরিয়াতে বাধাঁ পেয়ে বুলিশ সাইনসহ পুলব্যাকের চেষ্টা করছে। যেহেতু গত সপ্তাহে প্রকাশিত এনএফপি তথা লেবার মার্কেট নিউজ মোটামুটি পজেটিভ ছিলো এবং গতকাল নতুন জব পজেটিভলি রিভাইজড হয়েছে, তাই আশা করা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহটা আমেরিকান ডলারের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটা ভালো সুযোগ।ট্রেড আইডিয়া: মেজর পেয়ারগুলোতে সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স অথবা ব্রেকআউট লেভেল থেকে আমেরিকান ডলারে বাই মুডে থাকা যেতে পারে।
[attach=config]11197[/attach]
-
1 Attachment(s)
চীন,অস্টেলিয়া,জার্ মান ও যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে।*এর ফলে অর্থনৈতিক মন্দা পুনরায় বিশ্ব অর্থনীতিতে আঘাত হানতে শুরু করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে মার্কিন ডলারের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করেছে। *চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন উত্তেজনা মার্কিন ডলারের উপর পজিটিভ প্রভাব ফেলেছে।হোয়াইট হাউজের বানিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো চীনের উপর প্রতিশোধকমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
[ATTACH=CONFIG]11383[/ATTACH]
-
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ আর্থিক সংকট দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও সংকট মোকাবেলায় আর্থিক ব্যবস্থায় রেকর্ড পরিমাণ অর্থের জোগান দিয়েছিল ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এবারো নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে নগদ অর্থপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। কিন্তু এক যুগের ব্যবধানে দুটি সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের ধরনে ভিন্নতা রয়েছে, যা সেগুলোর কার্যকারিতায়ও বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ২০০৮ সালের পতনের সময় ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্টে প্রণোদনার অর্থ জমা হয়েছিল। আর এবার নগদ অর্থ জমা হয়েছে সরাসরি মার্কিনিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ফলে এবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের হাতে খরচের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ রয়েছে, যা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।