-
টালমাটাল পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে ২০২০ সাল পার করছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার। করোনা মহামারীর কারণে বছরের শুরু থেকে চাহিদায় রেকর্ড পতন দেখা দেয়ায় জ্বালানি পণ্যটির ব্যাপক দরপতন ঘটে। চলতি বছরই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম শূন্য ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। করোনাকালে চাহিদায় পতন ও মূল্যযুদ্ধের ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে জ্বালানি পণ্যটির দাম। তবে এখনো তা কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। এমনকি ২০২১ সালে গিয়েও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বর্তমানের তুলনায় খুব একটা বাড়বে না। এ ধারাবাহিকতায় আগামী বছর প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম ৫০ ডলারের নিচে অবস্থান করার সম্ভাবনা প্রবল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1279828479.jpg[/IMG]
-
এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে জ্বালানি পণ্যটির শীর্ষ রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকোর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস ও রয়টার্স। সৌদি আরামকো জানিয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এশিয়ার দেশগুলো সৌদি আরবের কাছ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনতে গেলে আরব লাইট ক্রুডের ক্ষেত্রে চলতি ডিসেম্বরের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি বাড়তি ৮০ সেন্ট গুনতে হবে। এর মধ্য দিয়ে আরব লাইট ক্রুডের দাম ওমান/দুবাই গ্রেডের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৩০ সেন্ট বাড়তি থাকবে। তবে চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বাড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে সৌদি আরামকো। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, জানুয়ারিতে আরব লাইট ক্রুডের ক্ষেত্রে মার্কিন ক্রেতাদের ডিসেম্বরের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৩০ সেন্ট কম পরিশোধ করতে হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/179890558.jpg[/IMG]
-
দেশে দেশে কোভিড ১৯ ভাইরাসের মেডিসিন বেড় হচ্ছে, আর সেই সঙ্গে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। এ বাড়তি চাহিদা জ্বালানি তেল এর মার্কেটেকে আবারও চাঙ্গা করে তুলেছে। শীতের প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা এবং মেডিসিন এর কারনে লকডাউন কম থাকায় বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। ধারাবাহিকতায় বিশ্ব বাজারে দাম বেড়ে দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে দ্রত ঘুরে দাড়াচ্ছে। করোনার প্রকোপ আরো বাড়লেও জ্বালানি তেলের বাজার বর্তমানের তুলনায় আরো চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1288500335.jpg[/IMG]
-
শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারী পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছে। গতকাল ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলে চাঙ্গা হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলে বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ভ্যাকসিন নিয়ে এমন আশাবাদের খবরে জ্বালানি পণ্যটির দাম আরো বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ৫০ ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গতকাল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে ফেব্রুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৫০ ডলার ৬৪ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৮৭ সেন্ট বেশি। একইভাবে এদিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ব্যারেলে ৬২ সেন্ট। দিন শেষে জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৪৭ ডলার ১৯ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।একই সঙ্গে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে একটি জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা জ্বালানি পণ্যটির সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1189599943.jpg[/IMG]
-
বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এর মধ্যেই যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের নতুন একটি রূপের বিস্তার ঘটেছে, যা আগের স্বরূপগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতি করোনা নিয়ে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের বাজারে। করোনা সংক্রমণের নতুন এ আশঙ্কা আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটিয়েছে। রয়টার্স প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে। দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৫০ ডলার ২৯ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৬২ সেন্ট কম।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/267176969.jpg[/IMG]
একই চিত্র দেখা গেছে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামেও। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে জ্বালানি পণ্যটির দাম আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৭২ সেন্ট কমেছে। দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআইয়ের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৭ ডলার ২৫ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কম।
গত সোমবারও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৩ শতাংশ কমেছিল। খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, কমার এ হার অব্যাহত থাকলে বড়দিনের আগে ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ফের ৫০ ডলারের নিচে নেমে আসতে পারে।
বছর শেষের আগে যেখানে ধনী দেশগুলো করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ক্রমশ আশাবাদী হয়ে উঠছিল, ঠিক তখনই দুঃসংবাদ দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানান, ভাইরাসের নতুন একটি বিবর্তিত রূপ লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এর পর পরই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ। এ পরিস্থিতি নতুন আতঙ্ক জন্ম দেয়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটিয়েছে।
-
বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় গত বছরের বেশির ভাগ সময়ই জ্বালানি তেলের চাহিদা কম ছিল। এ কারণে দ্য অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও তার জোটভুক্ত দেশগুলো গত মে মাস থেকে নজিরবিহীনভাবে জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে দেয়, কেননা মহামারীর মধ্যে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা ওঠা-নামা করতে পারে। এ কারণেই জোটভুক্ত দেশের জ্বালানিমন্ত্রীর প্রতি মাসে আলোচনায় বসে ঠিক করবেন, চাহিদা অনুযায়ী ঠিক কী পরিমাণ অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা যায়। আগামীকাল ওপেক প্লাস ঠিক করবে, আগামী মাসে বাজারে কতটা তেল তারা সরবরাহ করবে। আসলে বাজার পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করবে পরবর্তী পদক্ষেপ ও দাম।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1552176851.jpg[/IMG]
-
১১ মাসের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চে পজিশনে রয়েছে। গতকাল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৩ ডলার ৮৭ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ২৭ সেন্ট বেশি। দিনের শুরুতে জ্বালানি পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৪ ডলার শূন্য ৯ সেন্টে উঠেছিল। ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির পর এটাই ব্রেন্ট ক্রুডের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/944568238.jpg[/IMG]
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় সৌদি আরবের অবস্থান শীর্ষে। স্বাভাবিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক সৌদি আরব। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক গড় উত্তোলন ১০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনতে স্বপ্রণোদিতভাবে সম্মত হয়েছে সৌদি সরকার। মূলত ওপেক প্লাসের বৈঠকে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক উত্তোলন কমানোর বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত না আসায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের বাজারে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কমে এসেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের (ইআইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ৪৯ কোটি ১৩ লাখ ব্যারেলে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭ লাখ ব্যারেল কম। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের এক নোটে বলা হয়েছে, একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মজুদ কমেছে, অন্যদিকে সৌদি আরব উত্তোলন সীমিত করতে সম্মত হয়েছে। এ দুইয়ের জের ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে জ্বালানি তেলের। তবে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় দীর্ঘমেয়াদে বাজার পরিস্থিতি কেমন হবে- তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
-
আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫০ ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) তা আরো বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে উন্নীত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করতে পণ্যটি উত্তোলনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলো একযোগে কাজ করছে। বিশেষত ওপেক প্লাসের আওতায় গৃহীত উদ্যোগের সুফল মিলছে। সৌদি আরব স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় উত্তোলন ১০ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এসব উদ্যোগের ফল পাওয়া যাবে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গিয়ে। ওই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৬০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড ৫৫ ডলার ১০ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) বিক্রি হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৫২ ডলার শূন্য ৪ সেন্টে। করোনাকালীন ধাক্কা সামলে চলতি বছরের শুরু থেকেই জ্বালানি তেলের বাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে, যা আগামী দিনগুলোতেও বহাল থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1455954747.jpg[/IMG]
-
বিদায়ী বছরের প্রায় পুরোটাজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর ধাক্কা সামলেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খাত। বছরের শেষভাগে এসে দেশে দেশে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে খাতসংশ্লিষ্টদের মনে আশা জাগে, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদায় উল্লম্ফন দেখা দেবে, যা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। তবে নতুন বছরে করোনা নিয়ে উদ্বেগ পুরোপুরি কাটেনি। বরং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, করোনা সহসা বিদায় নাও নিতে পারে। বরং বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিবর্তিত রূপ ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধির হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নাও হতে পারে। এই রকম সম্ভাবনায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৬০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1503756655.jpg[/IMG]
-
জ্বালানী তেলের একটি ব্যারেল 25 এ নেমে যেতে পারে c উপন্যাসটি বিশ্বব্যাপী কোয়েড অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম বাজারের জন্য একটি পরীক্ষার প্রতিনিধিত্ব করেছে, এমন পরিস্থিতি আর কখনও পাওয়া যায় নি। করোনার পরিস্থিতি বিশ্বকে আর্থিক মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। একই সাথে, আন্তর্জাতিক চাপগুলি বিশ্বের বিভিন্ন টুকরোয় আরোহণ করছে। একটি বিশেষত বহুমুখী জরুরি অবস্থা অপ্রত্যাশিতভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে না। সুতরাং, বিশ্বব্যাপী বাজারে কাঁচা পেট্রোলিয়ামের ব্যয় হ্রাস পেতে আর্থিক ও আন্তর্জাতিক জরুরী কারণ হতে পারে, রাশিয়ান জাতীয় ব্যাংক সতর্ক করেছে। সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বব্যাপী বাজারে কাঁচা পেট্রোলিয়ামের ব্যয় সম্ভবত পরবর্তী তিন বছরে 25 ডলার ব্যারেল কমে যেতে চলেছে।