-
পরিবর্তিত বিশ্বে কোনো একক খাতের ওপর নির্ভর করে অর্থনীতি টিকে থাকতে পারবে না। টিকতে হলে অবশ্যই উৎপাদন ও রফতানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এজন্য নীতিসহায়তার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে হবে। যেটি চীন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো করেছে। বাণিজ্য উন্মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি রফতানি বৈচিত্র্যকরণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ অঞ্চলের অনেক দেশই বাণিজ্য ব্যবস্থা উদার করার পাশাপাশি সময় অনুযায়ী কার্যকর নীতি প্রণয়ন করতে পেরেছে, যা দক্ষতা উন্নয়ন ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করে রফতানি বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। সার্বিকভাবে সঠিক সময়ে সঠিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে দেশগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা শক্তিশালী হয়েছে।
-
প্রাণঘাতী করোনা মহমারিতে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বে নতুন করে চরম দারিদ্রতার মুখে পড়তে পারে আরো সাড়ে ৩৯ কোটি মানুষ। আর এতে বিশ্বের চরম দরিদ্রের মানুষের সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি ওয়ার্ল্ড ইন্সটিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস রিসার্চ কর্তৃক প্রকাশিত ওই গবেষণায় বিশ্ব ব্যাংকের দরিদ্র সীমার বিভিন্ন শর্ত আমলে নেয়া হয়েছে। গবেষণাটিতে দৈনিক ১.৯০ ডলার থেকে ৫.৫০ ডলারের নিচে যাদের আয় তাদেরকে অতি দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই করোনা মহামারিতে পরিস্থিতি খুব বাজে হলে ২০ শতাংশ মাথা পিছু আয় কমিয়ে দেখা গেছে যে বিশ্বের ১১২ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রতার মুখে পড়তে পারেন। এই একই পন্থা অবলম্বন করে আরো দেখা গেছে মাথা পিছু আয় কমে গেলে বিশ্বের প্রায় ৩৭০ কোটি মানুষ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দরিদ্র সীমার নিচে বাস করবে। এই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য এন্ডি সামনের বলেন, দরিদ্রদের দৈনিক আয়ের ঘাটতি পূরণে সরকারেরা আরো বেশি এবং দ্রুত কাজ না করলে বিশ্বের চরম দারিদ্রতার অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1506184481.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্বজুড়ে সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি গৃহীত বিধিনিষেধের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে অর্থনীতির ওপর ‘নজিরবিহীন ও দীর্ঘস্থায়ী’ প্রভাব পড়বে। সংস্থাটি আরো বলেছে, বৈশ্বিক মন্দা ৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এই সংস্থাটি মনে করছে, মহামারী নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে বৈশিক মন্দা ৬ শতাংশ হবে, আর যদি দ্বিতীয়বারের মতো করোনাভাইরাস হানা দেয় তবে মন্দা পৌঁছতে পারে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে। বুন বলেন, ‘উভয় পরিস্থিতিতেই অর্থনীতি ও মানুষের জীবনমানের ওপর ধাক্কাটা হবে নজিরবিহীন এবং প্রভাব হবে দীর্ঘস্থায়ী।
[ATTACH=CONFIG]11497[/ATTACH]
-
বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর কভিড-১৯ যে চাপ তৈরি করেছে, সরাসরিই তার প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানে। বৈশ্বিক জায়ান্টগুলোও কর্মীবাহিনী ছোট করে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তা বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশে মার্চের শুরুতে প্রথম কভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পরবর্তী মাসগুলোতে সংক্রমণ রোধের নানা পদক্ষেপে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সংকোচন ঘটেছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পেয়েছে। উল্টো বিদ্যমান কর্মীসংখ্যাই কমিয়ে এনেছে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানই। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত এপ্রিলে কর্মসংস্থানের বিজ্ঞাপন কমেছে ৮০ শতাংশের বেশি। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আগের তুলনায় তা এখনো ৭০ শতাংশের মতো কম।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1519213082.jpg[/IMG]
-
করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাবু গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। তবে লকডাউন শিথিল করায় বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে পুঁজিবাজারগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাবু গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। তবে লকডাউন শিথিল করায় বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে পুঁজিবাজারগুলোতে
-
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি যেভাবে স্থবির হয়ে পড়েছিল, তা একটু একটু করে কাটতে শুরু করেছে। যদিও সব দেশ সেই অর্থে করোনার প্রকোপমুক্ত হয়নি। অনেক দেশে ফের জোরালো হচ্ছে করোনার হানা। গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব পড়তে শুরু করে। সবকিছু বন্ধ থাকায় কমতে থাকে মানুষের আয়। প্রথমদিকে মধ্যবিত্তের ওপর তেমন প্রভাব না পড়লেও সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় এখন তারা গভীর সংকটে। এখানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও অর্থনীতির সবগুলো ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এখনও ঢের সময় বাকি। এ অবস্থায় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ থেকেই যাচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে আছে মধ্যবিত্ত। চাকরিচ্যুত ও কর্মহীন হওয়া বেকারের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানও কমেছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ সংকটময়।
-
1 Attachment(s)
করোনা মহামারী এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নকে মহাসঙ্কটের দিকে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি বলছে, ছয় দশকের মধ্যে সর্বাধিক আঞ্চলিক অধোগতি দেখবে ‘উন্নয়নশীল এশিয়া’ খ্যাত এ অঞ্চলের ৪৫ দেশ। চলতি ২০২০ সালে এই অঞ্চলের অর্থনীতি দশমিক ৭ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে সংস্থাটি। তবে ২০২১ সালে এই অঞ্চলের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আগের ধারায় ফিরে আসবে এবং পরের বছর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়বে বলেও উল্লেখ করেছে এডিবি। আজ মঙ্গলবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২০ এর হালনাগাদ প্রতিবেদন করেছে এডিবি। সেই প্রতিবেদনে এশিয়ার অঞ্চলের অর্থনীতি সম্পর্কে এমন পর্যবেক্ষণই দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে এশিয়া অঞ্চলের পূর্বাভাসকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে বলা হয়েছে। এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুয়ুকি সাউয়াদা এক বিবৃতিতে বলেন, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতি চলতি বছরের বাকি সময় বেশ ভুগবে। এডিবির এই ভবিষ্যদ্বাণী অবশ্য নতুন কোনো শঙ্কার কথা বলছে না। চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) একই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।
[ATTACH]12227[/ATTACH]
-
বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমন উদ্বেগজনক রূপ নিয়েছে। ইউরোপ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া সব খানেই নতুন করে বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময়সীমায়। এমন অবস্থায় মাত্র ৫ ডলার বা ৪০০ টাকায় করোনা পরীক্ষার কিট সরবরাহের কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা। স্বল্প মূল্যের এই কিট নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোকে দেয়া হবে।
-
করোনা মেকাবেলায় লকডাউনের কারনে বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র শেয়ার বাজার বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন যে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি হলে ইউরোপের সরকার তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আবার বন্ধ করতে বাধ্য করবে। ইউরোপে প্রতিদিন প্রায় 100,000 নতুন মানুষ করোনভাইরাসতে আক্রান্ত হচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে প্রায় 20 হাজার নতুন রোগী রয়েছে। ফ্রান্স জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিছু দেশ, যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন এবং অন্যান্য অঞ্চলে, ইতিমধ্যে সীমাবদ্ধ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হয়েছে। বার, রেস্তোঁরা এবং অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সংক্রমণের বিস্তার বন্ধ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, দেশগুলো কোয়ারেন্টাইনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার তেলের মুল্য কিছুটা কমেছে। wti ক্রুডের ফিউচার 0.6% কমে ব্যারেল প্রতি $40.80 লেনদেন হয়েছে। ব্রেন্টও 0.6% হারিয়ে $43.06 স্থায়ী হয়েছে। আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট বলেছে যে মার্কিন অপরিশোধিত তেল এক সপ্তাহে 5.4 মিলিয়ন কমেছে, যা বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করেছিলেন এর দ্বিগুণ। সোনার ফিউচারগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে এবং আউন্স প্রতি $1,907.50 ডলারে লেনদেন হয়েছে, যখন ইউরো / মার্কিন ডলার 0.1% কমে 1.1740 এ পৌঁছেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সূচকগুলোও মহামারীর কারণে নেতিবাচক গতিশীলতা দেখাচ্ছে। অধিকন্তু, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে নেতিবাচক নেতিবাচক মনোভাব বেড়েছে। সাংহাই কম্পোজিট 0.08% এবং শেনজেন কম্পোনেন্ট 0.14% হ্রাস পেয়েছে। তবে চীনে ভোক্তা মূল্য সূচক সেপ্টেম্বরে 1.7% বেড়েছে। উৎপাদক মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে 2.1% কমেছে, আগস্টে 1.8% হ্রাস এবং 2% হ্রাসের পূর্বাভাসকে পিছনে ফেলে। জাপানি নিকেকেই 225 হ্রাস পেয়েছে 0.69%, অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার kospi 0.83% কমেছে। হংকং হ্যাং সেনং সূচকও হ্রাস পেয়েছে 1.15%। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে শীঘ্রই বাজারে বিক্রয়-বন্ধ শুরু হতে পারে কারণ মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে নতুন উদ্দীপনা ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাবনা নেই। এই বিষয়ে আলোচনাটি অচলাবস্থায় শেষ হয়েছে। অন্য কথায়, বিশ্বের অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারের আশা করার কোনও কারন নেই, এতে যুক্ত করার মত কোন বিষয় নেই।
-
কোবিড -১৯ এর প্রভাবের কারণে যুক্তরাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ব্র্রেসিতের আর একটি উদ্বেগ হ'ল এটি বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে a যদি কোনও NEGOTIATIONS হয় আমার অর্থ ইউকে এবং ইইউর মধ্যে ট্রেড ডিল ঘটে যা কিছুটা সময়ের জন্য জিবিপি এবং ইউরো হয়ে উঠবে তবে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব জিবিপিকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে। দ্বিতীয় শর্ত যদি না ডিল ব্রেক্সিট ঘটে তবে জিবিপি মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে এবং জিবিপি / ইউএসডি আবার 1.1400 স্তরে পৌঁছতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে আরও হ্রাস পাবে।