-
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মোট আয়ের বা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্বের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আদায় করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত অন্যান্য খাত থেকে আদায় করার লক্ষ্য রয়েছে ৫৯ হাজার কোটি টাকা। করোনার এই সময়ে রাজস্ব আদায় লক্ষ্য অনুযায়ী হচ্ছে না, ফলে আগামী বাজেটে ব্যয় নির্বাহে ঋণ গ্রহণে চাপ বাড়বে।
এডিপি: বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে এডিপির আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ঘাটতি: এবারের বাজেটে ঘাটতির আকার অন্য সব বছর থেকে ছাড়িয়ে যাবে। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। অর্থাত্, প্রায় উন্নয়ন কর্মসূচির সমান ঘাটতি পূরণ করতে হবে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির আকার ৬ দশমিক ২ শতাংশের সমান। করোনা ভাইরাসের এই সময়ে বাজেট ঘাটতির আকার গত বছরই ৬ শতাংশের ওপরে ধরা হয়েছিল। কিন্তু ব্যয়ের সক্ষমতা কম থাকায় ঘাটতির আকার শেষ পর্যন্ত কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘাটতি পূরণে আগামী অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা।
অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে সরকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। আর জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য থাকছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি অর্থ বিদেশি উৎস থেকে সংগ্রহ করার লক্ষ্য রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের জন্য কর ছাড়: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে গতবারের মতো এবারও ব্যবসায়ীদের কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার বিদ্যমান সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ কমে ৩০ শতাংশ হতে পারে। একক ব্যক্তির কোম্পানিকে উৎসাহিত করতে করহার আরো কমে হতে পারে-২৫ শতাংশ। এর বাইরে অন্যান্য কোম্পানির ক্ষেত্রে করহার অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া খুবই কম হারে মুনাফা তথা মূল্য সংযোজন হয় এমন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান র (সাধারণ ডিলার, পাইকার ইত্যাদি) আয়কর ও ভ্যাটের হারে পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব করা হতে পারে। উৎপাদনশীল খাতে শিল্পের কাঁচামালের বিদ্যমান আগাম কর (অ্যাডভান্স ট্যাক্স বা এটি) কমতে পারে। কমতে পারে ভ্যাট ফাঁকির জরিমানার হারও। অন্যদিকে নানা সমালোচনা সত্ত্বেও কিছু পরিবর্তন করে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগও থাকছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/21386526.jpg[/IMG]
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/145802481.jpg[/IMG]
কর দিতে হবে না ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যের...‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্যান্ড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে উৎপাদিত পণ্যে ১০ বছর কর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।জাতী সংসদে বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী।বাজে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘দেশে মেগা শিল্পের বিকাশ এবং আমদানি বিকল্প শিল্পোৎপাদনকে ত্বরান্বিত করার স্বার্থে মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর।এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে অটোমোবাইল-থ্রি হুইলার এবং ফোর হুইলার উৎপাদনকারী কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে ১০ বছর মেয়াদে কর অব্যাহতি এবং আরও কিছু শর্ত সাপেক্ষে আরও ১০ বছর কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি।এ ছাড়া কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস পণ্য এবং হালকা প্রকৌশলশিল্পের পণ্যের উৎপাদনকারী কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে ১০ বছর মেয়াদি কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি।’এ প্রস্তাব কার্যকর হলে দেশীয় উৎপাদকেরা উৎসাহিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।