-
আইএমএফের উলটাপালনের আগে এই বছর বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের প্রাক্কলনকে সহজ করে দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী বিকাশে এখন পর্যন্ত এরকম কিছু হওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তদারকি পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। ভারতসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল ব্যবসায়িক খাতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি চরম মন্দার কারণে আইএমএফ বর্তমান এবং এক বছরের জন্য তার বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের প্রাক্কলনকে হ্রাস করেছে। নতুন চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক চুক্তি সত্ত্বেও কোনও নিমজ্জনের কোনও প্রত্যাশা বাড়িয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্থানীয় অঞ্চলটির কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। ভাড়া এবং উদ্যোগে বিনিময় লড়াই: এই প্রভাবগুলির মধ্যে একটি বছর আগে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি 2.9 শতাংশ প্রসারিত হয়েছিল। যা বিশ্বব্যাপী আর্থিক জরুরী অবস্থা থেকে ধীরতম বিকাশ। যাইহোক, গ্রহের চারপাশে জাতীয় ব্যাংকগুলি বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের জন্য 1 হারের হাইলাইটের অর্ধেক যোগ করেছে হিসাবে প্রায় গ্রহের চারপাশে জাতীয় ব্যাঙ্কগুলি কার্যত একই গতিতে অর্থ সম্পর্কিত ব্যবস্থা আলগা করার লক্ষণ।
-
গত বছর ২০২০ সালে বড় সংকোচনের পর এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পূর্বাভাস দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, বিশ্বব্যাপী করোনার ভ্যাকসিন অনুমোদনের ফলে অর্থনীতি নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে; কিন্তু করোনার ভিন্ন প্রকরণ এবং নতুন করে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ রয়েই গেছে। এ রকম ভিন্ন ধরনের অনিশ্চয়তার পরে এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনীতির হালনাগাদ পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গত অক্টোবরের পূর্বাভাসের চেয়ে শুন্য দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে এবারের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। যদিও গত বছর (২০২০) বিশ্ব অর্থনীতি সাড়ে ৩ শতাংশ সংকোচন হয়েছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/707160161.jpg[/IMG]
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/973667548.jpg[/IMG]
চলতি বছরে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও ঝুঁকি অনেক, অর্ধশতকের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। কিন্তু অঞ্চলভেদে প্রবৃদ্ধিতে ফারাক এবং বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে মহামারী-পূর্ব সময়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধরতে অনেক সময় লাগবে। ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে। গত নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের মাধ্যমে সাবেক এ প্রেসিডেন্টের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিরও পতন হয়। গতকাল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্ধবার্ষিক বৈঠকে জো বাইডেনের নেতৃত্বে বিশ্ব অর্থনীতির ঝাণ্ডাবরদারের ভূমিকাও অবতীর্ণ হয় যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি খবরও সামনে আসে। দেশটিতে গত মার্চে নতুন কর্মী নিয়োগের পরিমাণ গত আগস্ট-পরবর্তী সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। গত বছর সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন। এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশও করোনা পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবুও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চিত্রটা যেন ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট-পরবর্তী পরিস্থিতির সঙ্গে মেলানো যাচ্ছে না। ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং আর্থিক সহায়তার বিষয়গুলো যেন অঞ্চল ও দেশভেদে ভিন্ন। এতে বেশির ভাগ উদীয়মান অর্থনীতি এবং ইউরো অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তার ওপর নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ফ্রান্স ও ইতালির মতো দেশ ফের লকডাউন ঘোষণা করেছে। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে এশিয়ার অনেক উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতিতে। গত সপ্তাহে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি চিত্র ইতিবাচক হলেও বিভিন্ন অংশের মধ্যে ফারাক চিত্রের কারণে তা বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে। সব দেশে সব মানুষের কাছে এখনো ভ্যাকসিন পৌঁছায়নি। এখনো অসংখ্য মানুষ চাকরি হারাচ্ছে এবং দারিদ্র্য ক্রমেই বাড়ছে। অনেক দেশই বেশ পিছিয়ে পড়েছে।
২০২১ সালে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে ডব্লিউটিও। ২০২২ সালে তা দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশ। কিন্তু মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মাত্রায় পৌঁছতে অন্য দেশগুলোর অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশের নিচেই থাকবে। মহামারীর আগেও এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। পর্যটন ও সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতিগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে আইএমএফ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও এ চিত্রটি উঠে এসেছে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চিত্রটা বেশ অসম ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যেখানে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, সেখানে সংকুচিত হচ্ছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও জাপানের অর্থনীতি। উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর মধ্যেও পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে চীন থেকে বেশ পিছিয়ে পড়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারত।
সার্বিকভাবে চলতি বছর ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের, যা ১৯৬০-এর দশকের পর সর্বোচ্চ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস। তবে ইতিবাচক এ চিত্রের বিপরীতে শঙ্কার জায়গা হচ্ছে অব্যাহত করোনা হুমকি, যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক প্রণোদনা প্যাকেজ যা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে এবং বৈষম্য আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/693601367.jpg[/IMG]
পূর্বাভাসের তুলনায় চলতি বছর দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে এশিয়ার উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো। তবে এ দেশগুলোর পুনরুদ্ধারের পথটি আলাদা বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছর এ অঞ্চলের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়বে। এটা গত ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। কভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে গত বছর শূন্য দশমিক ২ শতাংশ সংকোচনের পর দ্রুত পুনরুদ্ধারের দিকে আগাচ্ছে এশিয়ার অর্থনীতি। এডিবি ২০২২ সালে এশিয়ায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। শক্তিশালী রফতানি ও গ্রাহকব্যয় পুনরুদ্ধার এ বছর চীনের অর্থনীতিকে ৮ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে সহায়তা করবে। এটা আগের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। এছাড়া পরের বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে।
-
সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনাগুলো ও মুদ্রানীতি প্রশমিত হওয়ায় আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক থেকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস করেছে মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলি। এর মধ্য দিয়ে গত সাত প্রান্তিকের নিম্নমুখী প্রবণতায় ছেদ পড়বে।২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত এক বছরে শুল্ক আরোপিত পণ্যের বাণিজ্য ডাইভারশনের কারণে ভিয়েতনাম যে পরিমাণ আদেশ পেয়েছে, তা দেশটির জিডিপির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। লাভবানদের তালিকায় দ্বিতীয় তাইওয়ান, যারা পেয়েছে জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ আদেশ। উভয় অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর চীনের বাড়তি শুল্কারোপের চেয়ে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন বাড়তি শুল্কারোপের কারণে বেশি লাভবান হয়েছে।