-
1 Attachment(s)
ডিএসইএক্স সূচকের পতন এক শতাংশের বেশি।
[ATTACH=CONFIG]17558[/ATTACH]
সাম্প্রতিক পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক বড় পতনের জের ধরে প্রথম কার্যদিবসের ন্যায় গতকাল সোমবার চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতন দেখা গেছে। পতনের জেরে এদিন ডিএসইএক্স সূচক এক শতাংশের বেশি পয়েন্ট কমেছে। একইসঙ্গে গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম অবস্থানে নেমেছে লেনদেন। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৫ এপ্রিল ডিএসইতে ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭২ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৪৮২ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে এক হাজার ৪২৮ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২৫ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০৩ শতাংশ কমে দুই হাজার ৪০৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৪টির এবং কমেছে ৩৪৭টির। বাকি ১৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৯০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ৯ কোটি ৬৪ লাখ ২১ হাজার ৭৪০টি শেয়ার ২ লাখ ৩২ হাজার ১৫৪ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচক পতনের চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৪ টাকা ৫০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ টাকা ৫০ পয়সা কমেছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কট্টালী টেক্সটাইলের ১১ কোটি ২১ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ১১ কোটি ১৭ লাখ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের ৬ কোটি ৪৬ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৭ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং কাট্টালী টেক্সটাইলের ২ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১০৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৪৭৭ দশমিক ০৪ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭২ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ১৩০ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৬৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ২২৫টির এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার এবং আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার।
-
1 Attachment(s)
নতুন এ নির্দেশনা দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদর আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইজের চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কমতে পারবে; তবে বাড়তে পারবে আগের মতই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। নতুন এ নির্দেশনা দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার থেকেই বাস্তবায়ন হবে। নতুন নির্দেশনা আসার আগে পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চে বড় দরপতনের প্রেক্ষাপটে শেয়ারদর কমার ক্ষেত্রে আগের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের পরিবর্তে নতুন সার্কিট ব্রেকার দিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা; এতে বলা হয়েছিল- কোনো শেয়ারের দর কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ। এর আগে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর টানা দরপতনে পুঁজিবাজারে ধস নামলে ২০২০ সালের মার্চে ফ্লোরপ্রাইস নির্ধারণ এবং পরে নিম্নমুখী সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছিল। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে তা তুলে নেওয়া হয়।
সার্কিট ব্রেকারের আগের নিয়ম অনুযায়ী, ২০০ টাকার নিচে যে কোনো শেয়ার দিনে ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে। ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং এর চেয়ে বেশি দরের শেয়ারের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে।
[ATTACH=CONFIG]17571[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
ডিএসইতে বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন।
[ATTACH=CONFIG]17573[/ATTACH]
ফের দরপতনের ধারায় পুঁজিবাজার। শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপে নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (১৭ এপ্রিল) দরপতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩০ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচক কমেছে ৬৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর লেনদেন চারশ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে, যা এক বছর ১৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে, ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। দরপতনে বিনিয়োগ কারীদের মধ্যে পুঁজি হারানোর শঙ্কা বেড়েছে। তাই তারা নগদ টাকা তুলতে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের ৯ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ৫৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৮০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির। ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। রবিবার ডিএসসিতে ৩৯৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫২৯ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার। লেনদেনে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ছিল সোনালী পেপার, সালভো ক্যামিকেল, ফার্মাএইড, জিএসপি ফাইন্যান্স, ইআইপিডিসি, বিএসসি, লাফার্জ হোলসিম, স্কয়ার ফার্মা ও ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৩০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। এ বাজারে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৫৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৯২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪৬ টাকার শেয়ার।
-
1 Attachment(s)
টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলো। এর আগে টানা দরপতন দেখা দিলে তারল্য বাড়ানো এবং দরপতন ঠেকানোর লক্ষ্যে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ বা পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল থেকে শেয়ারবাজারে একশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। সরকারি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে গত সপ্তাহে এ বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়। শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিলে গত ৮ মার্চ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিএমএসএফের একশো কোটি টাকা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা হলেও গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিনই পতন দিয়ে পার করে শেয়ারবাজার। এমনকি চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেও দরপতন হয়। এ পরিস্থিতিতে বাজারে মনিটরিং জোরদার করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। অস্বাভাবিক শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ানোর অভিযোগে একাধিক বোকারেজ হাউজের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। সেইসঙ্গে নয়টি ব্রোকারেজ হাউজের ১৫ জন ট্রেডারকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে পতন থেকে বেরিয়ে মঙ্গলবার শেয়ারবাজরে বড় উত্থান হয়। বুধবারও দেখা মিলে সূচকের বড় উত্থান। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষপর্যন্ত। ফলে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে ওঠে এসেছে। এর মাধ্যমে তিনদিনের টানা উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়লো ১৮০ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। দিনভার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬০৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৫টির। আর ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেএমআই হাসপাতালের ৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৮৩ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইপিডিসি ফাইন্যান্স, সোনালী পেপার, বিডিকম, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, জিনেক্স ইনফোসিস, ইয়াকিন পলিমার এবং বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৪৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮২টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
[ATTACH=CONFIG]17586[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে শেষ না হতেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্টের ওপরে। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে দুইশ কোটি টাকার বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর লেনদেনের সময় যত গড়াতে থাকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তত বাড়তে থাকে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৫৪ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ৪১ পয়েন্টে বেড়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়েছে।
[ATTACH=CONFIG]17616[/ATTACH]
-
টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে পার করার পর সোমবার (২৫ এপ্রিল) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। দিনের প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেওয়া অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কম। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে সূচক ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা জুড়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এরপর কিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সূচকের পতন প্রবণতা কিছুটা কমেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ৫ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৪ পয়েন্ট কমেছে। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/247060512.jpg[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১০১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।
-
1 Attachment(s)
গ্রামীণফোন কোম্পানির ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন।
[ATTACH=CONFIG]17643[/ATTACH]
বাংলাদেশের অন্যতম টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোন। তারা তাদের বার্ষিক লভংশ্য প্রদান করার ঘোষনা দেন। গ্রামীণফোনের ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ বছর ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে গ্রামীণফোন। এর মধ্য মঙ্গলবার গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় ভার্চুয়াল প্লার্টফর্মে অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ড সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এই সভায় গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১২৫ শতাংশ হারে ১০ টাকার শেয়ারে ১২.৫০ টাকা প্রতি শেয়ার চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে এ নগদ লভ্যাংশের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫০ শতাংশ যার মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী কালীন নগদ লভ্যাংশ যা ২০২১ সালে কর পরবর্তী মুনাফার ৯৮.৯১ শতাংশ। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনিক বিষয়দি নিয়ে আলোচনা হয়।
-
ঈদের আগে ও পরে টানা দরপতনের পর রোববার দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ঈদের আগের শেষ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কমে ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমে ১৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ। ফলে হতাশা নিয়েই ঈদে যেতে হয় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের।
ঈদের আগের হতাশা ঈদের পরও দেখা দেয়। কারণ ঈদের ছুটি শেষে শেয়ারবাজার খুললে গত বৃহস্পতিবার লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ। এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। এতে লেনদেনের ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়তে থাকে। লেনদেনের শেষ দিকেও এই প্রবণতা দেখা যায়। ফলে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৪৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১২টির। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৭২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৫০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেএমআই হাসপাতালের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৩৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৬ কোটি ৩৪ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিপিএইচ ইস্পাত। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইউনিক হোটেল, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ওরিয়ন ফার্মা, ইফাদ অটোস, সাইফ পাওয়ারটেক, জিনেক্স ইনফোসিস ও ডরিন পাওয়ার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/265402238.jpg[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯১টির ও ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এতে ১১টা ১৭ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ১১ পয়েন্ট।
তবে এরপর থেকেই বদলে যেতে থাকে বাজারের চিত্র। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে পতনের তালিকা। ফলে সূচকের বড় পতন দিয়েই শেষ হয় দিনের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৩ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৫৯১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৪২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৩টির। আর ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসিআই ফরমুলেশনের ৭৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই হাসপাতাল, শাইনপুকুর সিরামিক, ফরচুন সুজ, জিনেক্স ইনফোসিস, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইউনিক হোটেল ও ইস্টার্ন হাউজিং। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৭টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/895638044.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
ডিএসইতে সূচক ও লেনদেনে পতন অব্যাহত।
[ATTACH=CONFIG]17762[/ATTACH]
টানা কয় দিন ধরেই শেয়ারবাজার খুবই নাজুক অবস্থায় অতিবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সিংহভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর কমায় সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। একইসঙ্গে আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল ডিএসইতে ৩১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার লেনদেন কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৫৬৫ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৩২ দশমিক ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে দুই হাজার ৪০৬ দশমিক ৯১ পয়েন্টে স্থির হয়।ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৯১টির এবং কমেছে ২৪২টির। বাকি ৪৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ৩১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২০ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার ৬১৭টি শেয়ার ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫১ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচকের উত্থান-পতনের চিত্র গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। কোম্পানিটির ৪৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৫ টাকা ৭০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের ৪১ কোটি ২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের ৩৩ কোটি ৪৭ লাখ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের ২৯ কোটি ৯২ লাখ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ২৫ কোটি ৩৫ লাখ, ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের ২৪ কোটি ৮০ লাখ, স্যালভো কেমিক্যাল লিমিটেডের ১৯ কোটি ৬২ লাখ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১৭ কোটি ১৫ লাখ, এবং ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ১৪ কোটি ১০ লাখ ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের ১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গতকাল ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা ফু ওয়াং সিরামিকস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, বিডি থাই ফুড লিমিটেডের ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ, সালভো কেমিক্যাল লিমিটেডের ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, জেএমআই হসপিটালের ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।