যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

আদালত বলেছে, পার্লামেন্ট স্থগিতে রানিকে প্রধানমন্ত্রী জনসনের অনুরোধ আইনসম্মত ছিল না।

যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের ১১ বিচারপতির সর্বসম্মত এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলছে আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর পার্লামেন্টে রানির ভাষণ সামনে রেখে তিনি যাতে তার সরকারের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারেন সেইজন্য পার্লামেন্ট স্থগিত চেয়েছেন।

তবে সমালোচকদের মতে, পার্লামেন্ট সদস্যরা যাতে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে না পারেন সেজন্য তাদের পাশ কাটাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন জনসন।

আদালতের এই রায়ের পর প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন একদল এমপি। যত দ্রুত সম্ভব পার্লামেন্ট অধিবেশন চেয়েছেন তারা।

প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, এই রায়ে জনসনের ‘গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা’ প্রকাশিত হয়েছে।

রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা সামনে রেখে পার্লামেন্টের দায়িত্ব পালন বন্ধ করাটা ভুল ছিল।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন; ছবি-রয়টার্সযুক্তরাজ্ ের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন; ছবি-রয়টার্সদেশের গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলোর উপর এর প্রভাব ‘ভয়াবহ’ বলে অভিমত দেন কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হেল।
তিনি বলেন, রানিকে পার্লামেন্ট স্থগিতের অনুরোধের সিদ্ধান্ত আইনসম্মত ছিল না। কারণ এর প্রভাব ছিল হতাশাজনক। এর মধ্য দিয়ে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পার্লামেন্টের সাংবিধানিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রদ করা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম