৪০ লাখ আইফোন গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা ট্র্যাকিংয়ের দায়ে যুক্তরাজ্যে গুগলের বিরুদ্ধে করা মামলা ‘সামনে এগোতে কোনো বাধা নেই’ বলে রুল জারি করেছেন তিন বিচারক। এর আগে মামলাটি আটকে দিয়েছিলো হাই কোর্ট।

গুগলের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন ভোক্তা অধিকার গ্রুপ হুইচ? এর সাবেক পরিচালক রিচার্ড লয়েড-- খবর বিবিসি’র।

মামলার জবাবে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “মামলাটি যে বিষয়ে করা হয়েছে সে ঘটনাটি প্রায় এক দশক আগের এবং আমরা সে সময় এটি নিয়ে কথা বলেছিলাম।”

“আমাদের বিশ্বাস এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি বাতিল করা উচিত।”

২০১১ এবং ২০১২ সালের মধ্যে ব্রাউজার কুকি’র মাধ্যমে গুগল অ্যাপলের সাফারি ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে গ্রাহকের স্বাস্থ্য, জাত, লিঙ্গ এবং আর্থিক বিষয়ের ডেটা সংগ্রহ করেছিলো। গ্রাহক তার গোপনীয়তা সেটিংস থেকে ‘ডু নট ট্র্যাক’ অপশন বাছাই করে থাকলেও ডেটা ট্র্যাক করা হচ্ছিলো বলে দাবি করেছেন লয়েড।

ডেটা অপব্যবহারের দায়ে যুক্তরাজ্যে বড় কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম ক্লাস অ্যাকশন মামলা। এ ধরনের মামলায় অনেকের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন একজন।

২০১৮ সালের অক্টোবরে মামলাটি বাতিল করা হয়। সে সময় বিচারক জাস্টিস ওয়ারবি বলেন, ঠিক কত সংখ্যক গ্রাহক আক্রান্ত হয়েছেন তা বের করাটা কষ্টকর।

এবার আপিলে দেওয়া রুলে মামলাটি সামনে নেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত দিলো আদালত।

এ বিষয়ে লয়েড বলেন, “আজকের এই বিচার গুগল এবং অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে আপনারা আইনের উর্ধে নন।”

২০১২ সালে এই একই কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোয়া দুই কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে রাজি হয়েছিলো গুগল। তবে প্রতিষ্ঠানটি সে সময় এমনটাও দাবি করেছিলো যে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি এবং ওই পদক্ষেপ ছিল “অনিচ্ছাকৃত”।

ওই সময় কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশনের পক্ষ থেকে এটিই সবচেয়ে বড় জরিমানা অঙ্ক ছিলো।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম