ইউরোপ ও এশিয়ায় যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপান একটি অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তিকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) পাল্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জঁ-ক্লদ ইয়ুংকার ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে শুক্রবার এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। খবর ডয়েচে ভেলে।

গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছিল। তারা এবার ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে যোগাযোগ আরো বাড়ানোর জন্য পরিবহন, জ্বালানি ও ডিজিটাল সেবার মতো খাতে অবকাঠামো নির্মাণে একজোট হয়েছে। দুই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে ইইউ যে বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, এই চুক্তি তারই একটি অংশ। অবকাঠামো নির্মাণে অর্থের জোগানে ৬ হাজার কোটি ইউরোর (৬ হাজার ৫৪৮ কোটি ডলার) একটি ইইউ গ্যারান্টি ফান্ড গঠন করা হবে। ইইউ বলছে, এ ফান্ডটি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আরো বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যবহার করা হবে।

ইইউ ও এশিয়া বড় বাণিজ্য অংশীদার, এদের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ইউরো। বিশ্বের অর্থনৈতিক আউটপুটের ৬০ শতাংশের বেশি আসে এ দুই অঞ্চল থেকে। ইইউ এখন এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চাচ্ছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বাস এশিয়ায়। হিসাব অনুসারে, শুধু বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারকে সহায়তা করার জন্য আগামী দশকগুলোতে এশিয়ার প্রয়োজন পড়বে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ইউরোর। তবে এশিয়ার মতো বৈচিত্র্যময় মহাদেশে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন ও বাস্তবায়ন একটি চ্যালেঞ্জ বটে। ইইউ মনে করছে, তাদের ইউরোজোনের অভিজ্ঞতা এশিয়ার কাজে লাগতে পারে। এছাড়া এশিয়ায় ইইউ আগ্রহ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ কৌশলগত বৈদেশিক নীতি লক্ষ্য পূরণে বাণিজ্য, সহযোগিতা ও বিনিয়োগে নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা।
বণিক বার্তা