সেপ্টেম্বরে চীনের আমদানি ও রফতানি প্রত্যাশার তুলনায় বেশি কমেছে। আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় চাহিদার দুর্বলতা, মার্কিন শুল্ক ও বাণিজ্যযুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতিটির বাণিজ্যের ওপর যে ভালোভাবেই পড়ছে, তা আরো একবার সামনে এল। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বেইজিং এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তবে প্রত্যাশিত ফলাফল এখনো দেখা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি-রফতানির সর্বশেষ তথ্য বেইজিংকে আরো দুশ্চিন্তায় ফেলবে এবং আরো প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ গ্রহণে চাপ তৈরি করবে। খবর রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ।

চীনের কাস্টমস অফিসের তথ্যানুসারে, সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি কমেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে বড় পতন। অন্যদিকে একই সময় আমদানি কমেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, যা মে মাসের পর সবচেয়ে বড় পতন। আর এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস দেশটির আমদানি কমল। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে চীনের মোট ট্রেড ব্যালান্স ৩ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলারে।

রয়টার্স পরিচালিত জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন, বছরওয়ারি হিসাবে সেপ্টেম্বরে চীনের রফতানি কমতে পারে ৩ শতাংশ এবং আমদানি কমতে পারে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। গত মাসে দেশটির সার্বিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৩ হাজার ৩৩০ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে ব্লমবার্গের পরিচালিত জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন, বছরওয়ারি হিসাবে সেপ্টেম্বরে চীনের রফতানি কমতে পারে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আমদানি কমতে পারে ৬ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদিও বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রকোপ কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তবু বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির শ্লথগতির কারণে চীনা রফতানির ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগতে পারে।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের ইতি টানার জন্য একটি চুক্তি করার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৫ অক্টোবর চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপের যে সিদ্ধান্ত ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিদ্যমান শুল্ক বজায় থাকবে এবং উভয়পক্ষ জানিয়েছে, চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আরো অনেক কাজ বাকি রয়েছে।

গত আগস্টে বছরওয়ারি হিসাবে চীনের রফতানি কমেছিল ১ শতাংশ, যা ছিল জুনের পর সবচেয়ে বড় পতন। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় আগস্টে রফতানি কমেছিল। ওই মাসে দেশটির আমদানি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এর ফলে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার।

বণিক বার্তা