ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যদি ব্রিটেনের জোট ত্যাগের সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে তিন মাস পিছিয়ে জানুয়ারিতে নিয়ে যেতে সম্মত হয়, তবে একটি সাধারণ নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গতকাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি।

মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তির সর্বশেষ খসড়া দ্রুত পার্লামেন্টে আলোচনার বিষয়ে বরিস জনসনের একটি প্রস্তাব ব্রিটিশ এমপিরা প্রত্যাখ্যান করায় চুক্তি নিয়ে আবারো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে আরো অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ।

এখন ব্রিটেনের জোট ত্যাগের বিষয়টি মূলত ইইউ নেতাদের ওপর নির্ভর করছে। তারা ব্রেক্সিট সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে পেছানোর অনুমোদন করবেন কিনা ও কত সময়ের জন্য পেছানো হতে পারে, সেটাই এখন দেখা বিষয়।

পার্লামেন্টের চাপে ব্রেক্সিট সময়সীমা তিন মাস পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ইইউর কাছে একটি চিঠি পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন বরিস জনসন। কিন্তু চলতি মাসের শেষেই ব্রিটন ইইউ ত্যাগ করবে বলে এখনো জোর দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।

বরিস জনসন এ মুহূর্তে একটি সাধারণ নির্বাচন ডাকতে চাইলেও ২০১১ সালে পাসকৃত ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্টের কারণে তা সহজ হবে না। নির্বাচনের জন্য তার পার্লামেন্টের সমর্থন প্রয়োজন হবে।

বণিক বার্তা