আগামী ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনায় সোমবার হাউস অব কমন্সে জনসনের প্রস্তাবের পক্ষে ২৯৯ ভোট ও বিপক্ষে ৭০ ভোট পড়ে।

কিন্তু ফিক্সড-টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী এই প্রস্তাব পাসের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রস্তাবের পক্ষে অন্তত ৪৩৪টি ভোট প্রয়োজন ছিল, কিন্তু রক্ষণশীল দলের সব সদস্য ও লিবারেল ডেমোক্রেট সদস্যদের মধ্যে একজন বাদে সবাই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও তা যথেষ্ট হয়নি। লিব ডেমের ওই সদস্য বিপক্ষে ভোট দেন।

লেবার দলের অধিকাংশ সদস্যই ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। এসএনপি ও ডিইউপি দলের সদস্যরাও ভোটে অংশ নেয়নি।

ভোটের পর জনসন জানিয়েছেন, এমন একটি আইনি পথে তিনি আবার চেষ্টা করবেন যেখানে শুধু সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হলেই চলবে, আগের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে না।

কিন্তু এটি করতেও লিব ডেম ও এসএনপির সমর্থন জনসনকে পেতে হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

১২ ডিসেম্বরের আগাম নির্বাচনের জন্য হাউস অব কমন্সের সমর্থন পেতে জনসন মঙ্গলবার ফের চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমপিদের জনসন বলেছেন, পার্লামেন্ট ‘অকার্যকর’ হয়ে আছে এবং ‘দেশকে আর জিম্মি করে রাখতে পারে না’; এর জবাবে বিরোধীদল লেবার বলেছে, প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করা যায় না।

জনসন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাব গ্রহণ করার পর এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এসএনপি এবং লিব ডেম দলও ৯ ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে।

পার্লামেন্ট জনসনের প্রস্তাব অনুমোদন করলে যুক্তরাজ্য পরের মাসের ১ তারিখে, পহেলা ডিসেম্বরে কিংবা ১ জানুয়ারিতেও ইইউ ত্যাগ করতে পারতো।

ব্রেক্সিটের জন্য আগের নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে না দিতে সবসময় অটল ছিলেন জনসন।

কিন্তু গত মাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদের পাস করা একটি আইন অনুযায়ী ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি (২০২০) পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ইইউয়ের কাছে চিঠি পাঠাতে বাধ্য হন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম