শুক্রবার গুগল জানিয়েছে, ‘বাজারে নিজেদের পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্য আনার সম্ভাবনা দেখছে গুগল।’ পাশাপাশি ‘ডিজিটাল স্বাস্থ্য’ খাতে নিজেদের বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়াতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্লেষকরাও মনে করছেন ফিটবিটের মালিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘গুগল’-ই ভালো।

ফিটবিটি কেনার মাধ্যমে শুধু প্রতিষ্ঠান বা তাদের প্রযুক্তিই নয়, ফিটবিট ডিভাইসের মাধ্যমে সংগৃহীত লাখো গ্রাহকের স্বাস্থ্য ডেটাও হাতে পাবে গুগল। মূলত গ্রাহকরা দৈনন্দিন কী পরিমাণ হেঁটেছেন, কত ক্যালরি খরচ হয়েছে, কত দূর গিয়েছেন, কয় তলা উঠেছেন, কতক্ষণ ঘুম হয়েছে, হৃদ কম্পনের গতি কত ইত্যাদি ডেটা সংগ্রহ করে ফিটবিটের ফিটনেস ট্র্যাকার।

ফিটবিটের মালিকানা হাতবদল প্রসঙ্গে ক্রেগ-হলাম ক্যাপিটাল গ্রুপ এলএলসি বিশ্লেষকরা এক নোটে লিখেছেন, “আমরা মনে করি ফিটবিটের মালিকানা গুগলের হাতে যাওয়াই ভালো। ফিটবিট প্ল্যাটফর্মের দুই কোটি ৮০ লাখ গ্রাহকের স্বাস্থ্য ও ফিটনেস সম্পর্কিত ডেটার মূল্য অনেক।”

বর্তমানে বৈশ্বিক পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে চীনা প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন’-এর ডেটা অনুসারে, ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক পরিধেয় প্রযুক্তি বাজারের ১৭.৩ শতাংশই ছিল প্রতিষ্ঠানটির দখলে।

রয়টার্স উল্লেখ করেছে, মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল, দক্ষিণ কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং, চীন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এবং শাওমি’র দাপটে পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল না ফিটবিট।

এদিকে, গুগলের ফিটবিট কেনা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি-ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকরা প্রশ্ন তুলবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে না তোলার সম্ভাবনাই বেশি। শুক্রবারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাতে গুগল আগেভাগেই জানিয়েছে, ‘ফিটবিট গ্রাহকদের ডেটা গুগল বিজ্ঞাপন সেবার স্বার্থে ব্যবহার করবে না। চাইলে ফিটবিট গ্রাহকরা নিজ ডেটা পর্যালোচনা করতে, সরাতে এবং মুছে দিতে পারবেন।’

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম