নভেম্বরে গত সাত মাসে প্রথমবারের মতো প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে চীনের কারখানা কার্যক্রম। বেইজিং কর্তৃপক্ষ শ্লথ প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা করতে সম্প্রতি বিভিন্ন প্রণোদনা শুরু করে। এতে করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় নভেম্বরে খাতটি প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনবিএস) প্রতিবেদনে। খবর রয়টার্স।

কারখানা কার্যক্রম প্রবৃদ্ধিতে ফিরলেও অর্থনীতিটির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণগুলো দুর্বল। এদিকে রফতানি চাহিদায় শ্লথতা এখনো কাটেনি। অন্যদিকে দেশটির পণ্যে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরোপ হতে পারে আরো মার্কিন শুল্ক। এছাড়া ‘প্রথম পর্যায়ের’ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বেইজিং ও ওয়াশিংটন।

উল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি চীনা অর্থনীতির জন্য আরো কিছু দুঃসংবাদ রয়েছে। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্প্রতি প্রায় ৩০ বছরের নিম্নে পৌঁছেছে। সংকুচিত হয়ে এসেছে শিল্প মুনাফা। এ পরিস্থিতিতে বেইজিংকে আরো দ্রুত ও বড় রকমের প্রণোদনা ঘোষণা করতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে নভেম্বরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটির পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) কিছুটা ঘুরে ৫০ দশমিক ২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চের পর সর্বোচ্চ। অক্টোবরে তা ছিল ৪৯ দশমিক ৩ পয়েন্ট। তবে নভেম্বরে দেশটির পিএমআই ৪৯ দশমিক ৫ পয়েন্ট হতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছিলেন রয়টার্সের বিশ্লেষকরা। প্রসঙ্গত, পিএমআই ৫০ পয়েন্টের ওপরে বা নিচে হলে সংশ্লিষ্ট অর্থনীতি যথাক্রমে বেড়েছে বা কমেছে বলে ধরা হয়।

অন্যদিকে অক্টোবরে দেশটির বৃহদায়তন ম্যানুফ্যাকচারিং খাত চাঙ্গা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল সরকারি কারখানা পরিসংখ্যানে। এ মাসে সেখানে মোট নতুন ক্রয়াদেশ বাড়ায় উপসূচক ৫১ দশমিক ৩ পয়েন্টে পৌঁছে, যা এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।

বণিক বার্তা