যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একটি প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তি করতে সম্মত হয়েছে। এরই জেরে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজার আট মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া নীতি শিথিল করতে পারে, এমন সম্ভাবনাও শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে বাণিজ্য চুক্তির বিস্তারিত এখনো জানা না যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। ফলে শেয়ারবাজারের উল্লম্ফন সীমার মধ্যে ছিল। খবর রয়টার্স।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে দেখতে পাওয়া চাঙ্গা ভাব গতকালও বজায় ছিল ইউরোপের শেয়ারবাজারে। প্যান-ইউরোপের ইউরোস্টক্স ৫০ ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও এফটিএসই ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।

মার্কিন শেয়ারবাজারেও চাঙ্গা ভাব ছিল। বেঞ্চমার্ক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ দিন শেষ করে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে।

ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট লাইটহাইজার বলেছেন, মার্কিন-চীন বাণিজ্য চুক্তির ‘প্রথম ধাপ’ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, তবে এখনো কিছু পর্যালোচনা বাকি রয়েছে। এ চুক্তির কারণে আগামী দুই বছরে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি প্রায় দ্বিগুণ বাড়বে। এ চুক্তি স্বাক্ষর করবেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। কবে এটি সই করা হবে, এখন শুধু সে তারিখ নিধারণ করা বাকি।

এ বাণিজ্য চুক্তির ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক আস্থা ফিরে আসে, যার প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারে। জাপানের বাইরে এশিয়া প্যাসিফিকের এমএসআইসি বিস্তৃত সূচক ১৮ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চে পৌঁছে, বাড়ে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ বাড়ে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

সিডনির ব্রোকারেজ হাউজ কমসেকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রায়ান ফেলসম্যান বলেন, বাণিজ্য চুক্তি ও ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের পর বিশৃঙ্খল ব্রেক্সিট নিয়ে সৃষ্ট দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে আসার প্রভাব পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারবাজারে।

তিনি বলেন, অর্থনীতির শ্লথগতির কারণে অস্ট্রেলিয়ার বাজেট উদ্বৃত্ত প্রত্যাশার তুলনায় কম হওয়ায় বাজার ধারণা করছে, রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া নীতি শিথিল করতে পারে। এটিও প্রভাব ফেলেছে।

তবে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কম উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন চীনা বিনিয়োগকারীরা। নভেম্বরে দেশটির শিল্পোৎপাদন ও খুচরা বিক্রি প্রত্যাশার তুলনায় বাড়ায় গতকাল চীনের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের চাঙ্গা ভাব বজায় ছিল।

বণিক বার্তা