মধ্যপ্রাচ্যে ঘনায়মান সংঘাতের আশঙ্কা আপাতত কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় গতকাল বৈশ্বিক ইকুইটি বাজারগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যদিও তেল ও স্বর্ণের মতো নিরাপদ সম্পদগুলোকে পশ্চাদপসরণ করতে দেখা গেছে। বাজার স্থিতিশীল থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শীর্ষ জেনারেলকে হত্যা করায় যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক রয়েছেন। খবর এএফপি।

শুক্রবার বাগদাদের বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত কুদস বাহিনীর মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এ ঘটনা ইকুইটি বাজারে সেল-অফ শুরু করে এবং ক্রুডের দাম বাড়িয়ে দেয়।

ফরেক্সডটকমের ফাওয়াদ রাজাকজাদা বলেন, নতুন বছর একটি বড় ধাক্কা দিয়ে শুরু হয়েছে। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানি শীর্ষ জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বাজারের উদ্বেগের বড় কারণ।

তবে কাসেমিকে হত্যার ফলে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে শেয়ারবাজারগুলোয় সামান্য কিছু বড় উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা তাদের মনোযোগ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে পরিকল্পিত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের দিকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

সোমবার ওয়াল স্ট্রিটে ইতিবাচক লেনদেন দেখা যায়। ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান তিনটি সূচকের সবগুলোই প্রাথমিক ক্ষতি কাটিয়ে ঊর্ধ্বগতি দিয়ে লেনদেন শেষ করে। মূলত ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ব্রিটেনের সেবা খাতের শক্তিশালী পরিসংখ্যানকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ পরিসংখ্যান থেকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির মন্থরগতি প্রশমিত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বণিক বার্তা