ব্রেক্সিট গণভোটের পর ব্রিটিশদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্য কোনো সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের হার বাড়তে দেখা গেছে। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর গার্ডিয়ান।

২০১৬ সালে ব্রেক্সিট ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যের সাড়ে তিন লাখের বেশি নাগরিক ব্রেক্সিট-পরবর্তী বীমা নীতিমালার জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে অনেকেই নিজেদের ইইউ অধিকার ধরে রাখতে, এমনকি ব্রিটিশ পাসপোর্ট ত্যাগ করেছেন।

আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক সম্পর্কের সুবাদে দ্বৈত-নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ব্রিটিশদের কাছে বিকল্প হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশটি রয়েছে আগ্রহের কেন্দ্রে। এর বাইরে জার্মানি ও ফ্রান্সের পাসপোর্টের জন্য আবেদনের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশগুলোতে ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাজেয়াপ্তের হার ১০ গুণ বেড়েছে।

স্পেনে ব্রিটিশদের জন্য দ্বৈত-নাগরিকত্বের কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশটিতে এমন নাগরিকের সংখ্যা স্বল্প হলেও ব্রেক্সিট গণভোটের পর শক্তিশালী ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো উত্তর আয়ারল্যান্ড ও গ্রেট ব্রিটেনের ৩২ হাজারের কিছু বেশি নাগরিক আইরিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে। গত চার বছরে এ সংখ্যা প্রায় চার গুণ বেড়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে আইরিশ পাসপোর্টের জন্য ১ লাখ ৩১ হাজার ৮১৭ নতুন আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে গ্রেট ব্রিটেন থেকেই করা হয়েছে ৫৫ হাজার আবেদন।

অর্থাৎ ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষই ইউর নয়টি দেশের পাসপোর্ট পেতে বা নবায়নের জন্য আবেদন করেছে।

এদিকে গ্রেট ব্রিটেনে জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে আইরিশ পাসপোর্ট নবায়নের তুলনায় প্রথমবার পাওয়ার জন্য আবেদন করতে দেখা গেছে। আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, আবেদন সংখ্যা ২০১৫ সালের ৭ হাজার ৩৭২ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ৫৪ হাজার ৮৫৯টিতে দাঁড়িয়েছে।

ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে স্পেনে ব্রিটিশদের বসবাসের হার সবচেয়ে বেশি। কিন্তু নাগরিকত্ব গ্রহণের সংখ্যা কম। দেশটিতে বসবাসকারী আনুমানিক ছয় লাখ ব্রিটিশ নাগরিকের মধ্যে ২০১৮ সালে স্প্যানিশ পাসপোর্টের জন্য মাত্র ২০৯টি আবেদন দায়ের করা হয়। কিন্তু এ তুলনায় ২০১৫ সালের এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০ ও ২০১৬ সালে ৩৩টি।

বণিক বার্তা