বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেও গত বছর জার্মানির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম। গত বছর দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এ হিসাবের মধ্যে রয়েছে পণ্য সরবরাহ, সেবা ও বিনিয়োগ খাত। গতকাল প্রকাশিত আর্থিক সংস্থা দি আইএফওর (ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্চ) এ তথ্য জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের আর্থিক নীতির নতুন মূল্যায়নের পথ খুলে দিয়েছে। খবর রয়টার্স

আইএফওর হিসাব অনুযায়ী, এ নিয়ে টানা চতুর্থ বছরের মতো জার্মানির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বিশ্বের বৃহত্তম অবস্থান ধরে রেখেছে। বাণিজ্য উদ্বৃত্তে এর পরই রয়েছে জাপানের অবস্থান। গত বছর দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও ইউরোপিয়ান কমিশন বেশ কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করে আসছে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে তারা দেশটিকে আমদানি বৃদ্ধিরও অনুরোধ জানায়, যাতে করে অন্যত্র প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জার্মানির রফতানি সক্ষমতা নিয়ে সমালোচনা করে আসছেন।

জার্মানির বাণিজ্য উদ্বৃত্তের মূলে রয়েছে দেশটির আমদানি ও রফতানি বৈষম্য। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে পরিমাণ জার্মান পণ্য বিক্রি হয়, সে তুলনায় দেশটিতে অন্য দেশের পণ্য আমদানি হয় খুবই কম। গত বছর মেরকেল বলেছিলেন, আমরা আমাদের উৎপাদিত গাড়ি নিয়ে গর্বিত এবং এ বিষয়ে আমাদের গর্ব করাই উচিত। কিন্তু এসব গাড়ির বহুলাংশ উৎপাদন হয় যুক্তরাষ্ট্রে, যা রফতানি করা হয় চীনে।
বণিক বার্তা