গত বছরের শেষ প্রান্তিকে জাপানের অর্থনীতি প্রাথমিক প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সংকুচিত হয়েছে। গতকাল প্রকাশিত সংশোধিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে, যা নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য হুমকি হয়ে ওঠার আগে থেকেই জাপানের নাজুক অর্থনীতির প্রতিফলন। খবর এএফপি।

২০১২ সালের পর আবার একটি অর্থনৈতিক মন্দার দিকে হাঁটছে জাপান। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের সংশোধিত পরিসংখ্যান দেখার পর অর্থনীতিবিদরা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ভাইরাসের বিস্তারও রফতানির পতন ঘটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

গতকাল দেশটি জানায়, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের সংশোধিত পরিসংখ্যানে জাপানের জিডিপি সংকুচিত হয়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১ দশমিক ৬ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস করা হয়েছিল। এছাড়া জিডিপির এ পতন স্বাধীন অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসকৃত ১ দশমিক ৭ শতাংশ সংকোচনের চেয়েও বেশি। জাপানের বিজনেস ডেইলি নিক্কেইয়ের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে জাপানের জিডিপিতে সংকোচন দেখা গিয়েছিল। সে সময় দেশটির সরকার ভোক্তা কর ৫ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করেছিল। এদিকে অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও গত বছরের অক্টোবরে বিক্রয় কর আবার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এর বাইরে গত প্রান্তিকের পরিসংখ্যানে জাপানে গত বছর আঘাত হানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাবও রয়েছে।

ক্যাবিনেট অফিস জানায়, জাপানের অনাবাসিক বিনিয়োগে প্রত্যাশার চেয়ে বড় পতন দেখা গেছে। যার ফলে দেশের সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ চাহিদা ২ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এর আগে ২ দশমিক ১ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অর্থনীতি নিয়ে সংগ্রাম করতে থাকা জাপানকে আগামী দিনগুলোয় আরো কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার স্থানীয় ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কা থাকায় এ পরিস্থিতিতে রফতানি চাপের মুখে পড়তে পারে।

বণিক বার্তা