বৈশ্বিক অর্থনীতির নিম্নমুখী গতি অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করলেও গত বছর দুবাইয়ের তেলবহির্ভূত বৈদেশিক বাণিজ্যে উল্লম্ফন দেখা গেছে। ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শহরটির তেলবহির্ভূত বৈদেশিক বাণিজ্য ৬ শতাংশ বেড়ে ৩৮ হাজার কোটি ডলারে (১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন দিরহাম) দাঁড়িয়েছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

গত বছর দুবাইয়ের রফতানি ২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২০ কোটি ডলারে। একই সময় পুনঃরফতানি ৪ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৪৩৫ কোটি ডলার এবং আমদানি ৩ শতাংশ বেড়ে ২১ হাজার ৬৭২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২০১৯ সালে দুবাইয়ের তেলবহির্ভূত বাহ্যিক বাণিজ্য ১৯ শতাংশ বেড়ে ১০ কোটি ৯০ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সাল নাগাদ ৫৪ হাজার ৪৫১ কোটি ডলার (২ ট্রিলিয়ন দিরহাম) বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দুবাই।

দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ হামদান বলেন, আমিরাতের অর্থনৈতিক অর্জনে দুবাইয়ের বহিঃস্থ বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। একই সঙ্গে বাণিজ্য, ব্যবসা ও পর্যটনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে নিজের মর্যাদাও আরো বাড়িয়েছে, যা দুবাইকে আগামী ৫০ বছরের প্রবৃদ্ধির একটি দৃঢ় মঞ্চ দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন খাতজুড়ে আরো টেকসই উন্নয়নের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

তিনি আরো বলেন, দুবাইয়ের বহিঃস্থ বাণিজ্য খাত ক্রমান্বয়ে ২০২৫ সালের ৫৪ হাজার ৪৫১ কোটি ডলার বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে চলেছে। সরকারের সব সংস্থাই সর্বোত্তম পরিষেবা প্রদান, বাণিজ্য ও বিদেশী বিনিয়োগের সুবিধার্থে এবং আমিরাতজুড়ে বিশেষভাবে বিমানবন্দর ও মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলসহ আরো অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করছে। তারা এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের যাত্রা মসৃণ এবং পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক সেতু হিসেবে নিজেদের ভূমিকা আরো বৃদ্ধি করতে কাজ করে চলেছে।

এক্সপো ২০২০-এর মতো মেগা ইভেন্টের আয়োজক হওয়ার কারণে দুবাইয়ের সামনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য খাতের নতুন সম্ভাবনা অন্বেষণ ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর সুযোগ এনে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শেখ হামদান।

বণিক বার্তা