অর্থনীতির এই মহাসংকটে বাংলাদেশের মতাে স্বল্প আয়ের দেশগুলাে সবচেয়েবেশি ঝুঁকির তালিকায়। এজন্য করােনার মতাে ভয়াবহ এই বৈশ্বিক বিপর্যয় মােকাবেলা করতে নতুন অর্থনৈতিক কৌশল নেয়ার পরামর্শ ব্যবসায়ী ও অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। এক্ষেত্রে আইএমএফ এর বিশেষ পরামর্শ কাজে লাগিয়ে দাতা সংস্থাগুলাের কাছে দ্রুত তহবিল সংগ্রহ ও তার যথাযথ ব্যবহারে বাড়তি মনােযােগী হবার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

করােনাভাইরাসের সংক্রমণে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি ২০০৮ সালের মন্দাকেও ছাড়িয়ে যাবে। এর ফলে ৫০ কোটি লােক নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়বে। বিশ্বব্যাপী বেকার হয়ে পড়তে পারে ৩৩০ কোটি লােক। ফলে সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধির হারও কমে আসবে। এমন সব আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলাে বলছে বাংলাদেশ সহ স্বল্প আয়ের দেশগুলাে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। গেল বৃহস্পতিবার আইএমএফ জানায়, কেবল প্রবৃদ্ধি নয় বৈশ্বিক এই সঙ্কটে চলতি বছরে অন্তত ১৭০ টি দেশের মাথাপিছু আয় হবে নেতিবাচক। এরই মধ্যে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক গত ৪ এপ্রিল আর্থিক ক্ষতি মােকাবেলায় ১০ কোটি ডলার দ্রুত ছাড়ের ঘােষণা দেয়। এছাড়াও করােনা বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে নতুন করে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার এবং আইএমএফের কাছে জরুরী সহায়তা হিসেবে ৭০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।