[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/480484409.jpg[/IMG]
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুরনো নোট তুলে নিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক নোট মার্কেটে ছাড়ছে। ঈদের মতো বড় উৎসবকে কেন্দ্র করে সবসময়ই বাজারে নতুন নোট ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ব্যতিক্রম। করোনাভাইরাসের আগ্রাসনে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। একই সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়েছে অর্থনীতি। পহেলা বৈশাখের মতোই বর্ণহীন থাকবে এবারের ঈদুল ফিতরের উৎসবও। তার পরও বাজারে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ৬০ হাজার কোটি ইউয়ান মূল্যমানের কাগুজে নোট পুড়িয়ে ফেলেছিল চীন। পৃথিবীর অনেক দেশই চীনের পথ অনুসরণ করেছে। বাজারে নতুন নোট ছেড়ে ব্যবহূত নোট তুলে নিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন ূদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকও এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছেড়ে বাজার থেকে পুরনো টাকা তুলে নেয়া হবে। এর পরও নগদ টাকার প্রয়োজন হলে আরো ৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য থেকে নোট ছাপানোর কাগজ-কালিসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইউরোপের এসব দেশও বহু আগে লকডাউনে চলে যায়। পণ্য দেশে আনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায়নি জাহাজও। দেশেও সাধারণ ছুটি চলছে ২৬ মার্চ থেকে। ফলে নোট ছাপানোর উপকরণ আমদানি ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড়াতে গিয়ে এবার বেশ বিড়ম্বনাই পোহাতে হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
তবে শেষ পর্যন্ত কাগুজে নোট ছাপানোর উপকরণ সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনে পৌঁছেছে। সরকারি ছুটি ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া মেশিনগুলো আবারো সচল করা হয়েছে। ছুটিতে যাওয়া কর্মীরাও যোগ দিয়েছেন টাকা ছাপানোর কাজে। এতে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে টাঁকশাল।
দেশে টাকা ছাপানো ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। বিভাগটির তথ্যমতে, আগে থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে এক হাজার টাকার বিপুল পরিমান নোট মজুদ ছিল। ফলে নতুন করে এক হাজার টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে না। এবার সবচেয়ে বেশি ছাপানো হবে ৫০০, ২০০, ১০০, ৫০, ২০ ও ১০ টাকার নোট। এর মধ্যে ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে ৩৭ কোটি। এ হিসাবে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হবে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে চালু করা ২০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে ২০ কোটি। এছাড়া ৩৫ কোটি নোট ছাপানো হচ্ছে ১০০ টাকার। তবে সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ছাপানো হচ্ছে ৫০, ২০ ও ১০ টাকার নোট।