নভেল করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপে কারখানা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। এতে কর্মহীন হয়ে পড়া কর্মীদের জন্য বড় অংকের অর্থ ব্যয় করছে ইউরোপীয় সরকারগুলো। অঞ্চলটির বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর উপাত্ত থেকে দেখা গেছে শাটডাউনের সময় চার কোটিরও বেশি কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, যারা সরকারের কাছ থেকে বেতনের অল্প অংশ পাচ্ছেন। সরকারি সহায়তা ছাড়া অধিকাংশই তাদের চাকরি হারাতে পারেন, যাতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেকারত্ব হার সর্বোচ্চে পৌঁছবে। খবর ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের অনুমান, যদি ঝুঁকিতে থাকা সব শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন, তবে ইউরো অঞ্চলের চার বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেনের বেকারত্বের হার লকডাউনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪২ শতাংশে পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে। এটি ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দেবে। যেখানে বৈশ্বিক আর্থিক সংকট ও অঞ্চলের সার্বভৌম ঋণ সংকট—এ দুই বিপর্যয় থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল অঞ্চলটির শ্রমবাজার। এর পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সরকারগুলো এগিয়ে এসেছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে অঞ্চলটির বৃহত্তম অর্থনীতিগুলো সাময়িক ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের জন্য ১০ হাজার কোটি ইউরো বা ১১ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ গ্রহণ করেছে।

কর্মসংস্থান পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রে আরো নাজুক। আগামী শুক্রবার প্রকাশিত উপাত্তে এপ্রিলের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ১০ লাখ বেকারত্ব বরণ করেছে, যা আর্থিক সংকটের সবচেয়ে খারাপ মাসের চেয়ে ২৬ গুণ বেশি। তবে ইউরোপের শ্রমবাজারও এ ধাক্কা থেকে রেহাই পায়নি। জার্মানিতে গত মাসে বেকারত্ব বরণ করেছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার জন। নভেল করোনাভাইরাসে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের দেশ স্পেন শিগগিরই তাদের বেকারত্ব উপাত্ত প্রকাশ করতে যাচ্ছে।

বণিক বার্তা