যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত ফেসবুক মন্তব্য মুছে না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। শুধু তা-ই নয়; চলমান বিক্ষোভ নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বী সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারের স্বচ্ছ অবস্থান ও টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসির গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছেন ফেসবুকের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক। খবর রয়টার্স।

ফেসবুকসহ বৈশ্বিক সার্চ জায়ান্ট গুগল ও ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এখন অনেক সামাজিক ন্যায়বিচারের ইস্যুতে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিতে দেখা যায়। অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে অভ্যন্তরীণ নীতিমালা পরিবর্তন করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো ফেসবুক পোস্ট সরানো হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ফেসবুকে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে নানা বিতর্কিত ও উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ফেসবুকের কনটেন্ট নীতিমালা সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের শীর্ষ পর্যায়ের সাত জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকের মধ্যে তিনজন প্রকাশ্যে জাকারবার্গের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।

এ বিষয়ে ফেসবুকের নিউজ ফিডের পণ্য নকশা বিভাগের পরিচালক রায়ান ফ্রেইটিস বলেন, মার্ক ভুল করেছেন। আমি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের চেষ্টা চালাব। তিনি ৫০ জনের বেশি সমমনা কর্মীকে এ কাজে পাশে পাচ্ছেন বলে জানান। প্রয়োজনে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য লবিং চালাবেন।


বণিক বার্তা