নভেল করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে চীনের উত্তরণের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছেন। গত মাসে ব্লুমবার্গের একটি জরিপে অর্থনীতিবিদরা দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের জিডিপিতে ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এখন তারা বলছেন, প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। খবর ব্লুমবার্গ।

শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকেই নয়, পুরো বছরের জন্যই চীনের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। এর আগে ১ দশমিক ৭ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ধারণা করেছিলেন তারা। আর এখন বলছেন, পুরো বছরে দেশটির জিডিপি বাড়তে পারে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদদের এ ধারণা সত্যি হলে চীনের অর্থনৈতিক ভিত্তি যে আসলেই মজবুত, তা স্বীকার করে নিতে হবে। কারণ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেই ৬ দশমিক ৮ শতাংশের বড়সড় সংকোচনে পড়েছিল চীনা অর্থনীতি। এরপর তো কিছু অর্থনীতিবিদ বলেই দিয়েছিলেন, চীনকে শেষ পর্যন্ত ছোটখাটো মন্দা দেখতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় প্রান্তিকে তারা যেভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে, তা আসলেই প্রশংসার দাবিদার। আর এতে ওইসব অর্থনীতিবিদও শেষ পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়তো মন্দা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে।

ফরাসি বহুজাতিক বীমা প্রতিষ্ঠান এএক্সএর হংকং কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এইদান ইয়াও বলেছেন, ‘চীনা অর্থনীতি তার গতি ফিরে পেতে শুরু করেছে। শিল্পোৎপাদন ও সেবা খাত দুটোই প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে। এখন আমরা দ্বিতীয় প্রান্তিকে একটি ইতিবাচক জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানের আশা করতেই পারি।’

অভ্যন্তরীণ চাহিদার পালে হাওয়া লাগাতে রেকর্ড পরিমাণ সরকারি বন্ড বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। এছাড়া ব্যাংকগুলোকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলোকে আরো বেশি ঋণ সরবরাহ করে এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমায় ছাড় দেয়।

ব্লুমবার্গের জরিপে অংশগ্রহণকারী অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের শিল্পোৎপাদন ও স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং তা একসময় করোনা-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাবে।

বণিক বার্তা