চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির জেরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। বেশ কয়েকটি চুক্তি বাতিল হওয়াসহ চীনা পণ্য ও নাগরিকদের বয়কটের দাবি উঠেছে। খবর সিএনএন বিজনেস।

চলতি সপ্তাহে বাণিজ্য সংস্থাগুলো বলছে, ভারতীয় চেকপয়েন্টে চীনা শিপমেন্ট আটকে দেয়া শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে লাদাখে উভয় পক্ষের প্রাণঘাতী সংঘর্ষের জেরে দুই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্কে ব্যাপক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

অ্যাপল ও ফক্সকনের মতো বৃহৎ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন দি ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশন (আইসিইএ) গত মঙ্গলবার ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবগত করে যে কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই ভারতের বন্দরগুলোয় চীন থেকে আমদানি হওয়া সব ইলেকট্রনিক পণ্য তল্লাশি করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আইসিইএ চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দ্রো বলেন, অনেক বিলম্ব করার পর পণ্য ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানানো হচ্ছে এবং এখন শতভাগ পরীক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে। নির্বিঘ্ন পণ্য চালানের বিষয়টি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এশিয়ার দুই প্রধান অর্থনীতির মধ্যে টানাপড়েনের বিষয়টি খুব খারাপ সময়ে এসেছে। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে ব্যবসায়ের বিভিন্ন স্তরে জটিলতা চলছিল। বিরোধের আগে এ খাত স্বাভাবিক সময়ের মাত্র ৪০ শতাংশ সক্রিয়তা পেয়েছিল।

তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই পণ্য ছাড় দেয়া হয়। গত তিন মাসে ব্যাপক লোকসানের পর আমরা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছিলাম, তখনই এ সমস্যা দেখা দিল।

ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা সিএনএন বিজনেসের কাছে মন্তব্যে অস্বীকৃতি জানায়।

এদিকে ভারতের অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দ্য চেন্নাই কাস্টমস ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন গত মঙ্গলবার জানায়, সব বন্দরের বৈদেশিক পণ্য দেখভালকারীদের কর্তৃপক্ষ থেকে বলে দেয়া হয়েছে চীন থেকে আসা সব কনসাইনমেন্ট আটকে দিতে।

গত সপ্তাহের সীমান্ত বিরোধের আগে থেকেই ভারতের চীনবিরোধী মনোভাব দানা বাঁধছিল এবং চীনা পণ্য বয়কটের আওয়াজ উঠেছিল। সর্বশেষ নতুন নীতিমালায় ভারতের সম্ভাবনাময় অনলাইন খাতে ভবিষ্যতে চীনা বিনিয়োগ সংকুচিত করার দিকে এগোচ্ছে নয়াদিল্লি।

বণিক বার্তা