প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমবারের মতো এ মাইলফলক স্পর্শ করে রিজার্ভ। দিন শেষে রিজার্ভের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্সের বিদ্যমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ মাসের মধ্যেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য সমাপ্ত জুন মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এটি একক মাস হিসেবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালের জুনে প্রবাসীরা ১৩৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।

করোনা মহামারীর মধ্যেই গত ৩ জুন প্রথমবারের মতো দেশের রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। এরপর মাস পার হওয়ার আগেই রিজার্ভে যুক্ত হলো আরো ২ বিলিয়ন ডলার। গত ২৩ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করে। আমদানিতে বড় ধসের বিপরীতে রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন এবং রফতানি খাত ঘুরে দাঁড়ানোকেই রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা।

করোনার ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নির্বাহী পরিচালক বণিক বার্তাকে বলেন, গত এক মাসের মধ্যেই রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়নের গণ্ডি থেকে ৩৬ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও প্রবাসীরা আগের চেয়ে বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন। দেশের রফতানি খাতও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমাদানি ব্যয় কমে যাওয়া ও এরই মধ্যে আমদানি হওয়া পণ্যের দায় পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর কারণে রিজার্ভের পরিমান তরতর করে বাড়ছে। আশা করছি, জুলাই মাসেও রিজার্ভের প্রবৃদ্ধি উর্ধ্বমুখী থাকবে। এটি ৩৭ বিলিয়নের মাইলফলকও স্পর্শ করতে পারে।

বণিক বার্তা