লকডাউন প্রত্যাহারের তিন মাস পেরিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে চলেছে চীনের উহান শহর, যেখানে নভেল করোনাভাইরাস প্রথম আঘাত হেনেছিল। এ তিন মাসে উহানের উত্তরণের পথটা খুব একটা মসৃণ নয়। কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এখনো স্থবিরতা বিরাজ করছে। করোনার বিস্তার প্রতিরোধে আরোপিত লকডাউন শেষে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন শহর। কিছু শহর অপেক্ষায় রয়েছে। অর্থনৈতিক উত্তরণের পথটা কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে অন্য শহরগুলোর জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ভাইরাসের আঁতুড়ঘর উহান।

উহানের কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড শেষ হয়েছে গত ৮ এপ্রিল। সেদিন যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে চীন। কারণ করোনার মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে চীনকেই। ফলে উহানের স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাকে রীতিমতো যুদ্ধজয়ের সমতুল্য দেখা হচ্ছিল। এর মাধ্যমে চীন বিশ্ববাসীর সামনে মাথা উঁচু করে দাবি করার সুযোগ পেয়ে যায়—দেখো, আমরা সফলভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।

উহানের কারখানা ও অফিসগুলো তাদের কার্যক্রমে ফিরেছে খুব দ্রুত। কিন্তু ভোক্তাব্যয়ে সে গতি এখনো ফেরেনি। লকডাউন উঠে যাওয়ার ৭৬ দিন পেরিয়ে গেলেও শহরটির বাসিন্দারা এখনো বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাইরের খাবার কেনার পরিবর্তে উহানবাসী এখন ঘরে রান্না করে খাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। কেনাকাটার ক্ষেত্রেও সশরীরে দোকানে যাওয়া এড়িয়ে চলছে তারা। বরং অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে।


বণিক বার্তা