এশিয়ার ‘উজ্জ্বল নক্ষত্র’ হিসেবে পরিচিত, অথচ সেই সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিই আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ছোট্ট কিন্তু ধনী এ নগররাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) রীতিমতো ধস নেমেছে। নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকোচন দেখতে হয়েছে তাদের। শুধু তাই নয়, গত এক যুগে কোনো প্রান্তিকেই প্রবৃদ্ধির ধারা থেকে চ্যুত হয়নি সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি। খবর ব্লুমবার্গ ও বিবিসি।

বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে গত প্রান্তিকে বার্ষিক ৪১ দশমিক ২ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছে এশিয়ার ‘বিজনেস হাব’ সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি। ১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এটিই তাদের জিডিপিতে সবচেয়ে বড় সংকোচন। এছাড়া ২০০৭-০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার পর কখনো পতন দেখেনি সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি।

নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিভিন্ন দেশে আরোপিত দীর্ঘ লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছে বৈশ্বিক বাণিজ্য। এতে রফতানিনির্ভর সিঙ্গাপুরের শিল্প খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আংশিক লকডাউন আরোপের কারণে গত প্রান্তিকে বিক্রিতে রেকর্ড পতন দেখেছেন দেশীয় রিটেইলাররা। এ সবকিছুই সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিকে খাদের কিনারে নিয়ে এসেছে।

গতকাল শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত উপাত্ত অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটির জিডিপি সংকুচিত হয়েছে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। অবশ্য এ সময়ে ওষুধ উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে আগের প্রান্তিকের সঙ্গে হিসাব করলে তা সংকুচিত হয়েছে বার্ষিক ২৩ দশমিক ১ শতাংশ হারে। প্রথম প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

বণিক বার্তা