নভেল করোনাভাইরাস ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় অর্থনীতিতেই চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মহামারী মোকাবেলায় ভিন্নতর পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতি বর্তমানে পুনরুদ্ধারের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। চলতি বছর হয়তো এ পার্থক্য বোঝা যাবে না। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে পরবর্তী এক-দুই বছর প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইউরো অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের ওপরে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ।

চীনে উত্পত্তি হলেও ধীরে ধীরে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হয় পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে জেঁকে বসেছিল কভিড-১৯। এতে সেসব দেশের অর্থনীতিও স্থবির হয়ে পড়ে। তবে এখন দেশগুলোয় সংক্রমণ অনেকটা কমে এসেছে। মহামারীর দ্বিতীয় জোয়ারও এখন পর্যন্ত তেমন দেখা যায়নি সেখানে। ফলে ইউরো দেশগুলো আবার অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ফিরতে পেরেছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। সেখানে মহামারীর দ্বিতীয় প্রবাহ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতিও থমকে গেছে।

টেকসই অর্থনৈতিক উত্তরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা যে মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। ইউরোপীয় দেশগুলো সে কাজে তুলনামূলক বেশি সাফল্য দেখিয়েছে। ফলে সেখানে ভোক্তারা তাদের ব্যয় বাড়াতে উৎসাহিত হচ্ছেন। বিনিয়োগকারীরাও আস্থা ফিরে পেতে শুরু করেছেন যে তাদের বিনিয়োগ মার খাবে না। এতে ইউরো অঞ্চলে চাহিদা ও প্রবৃদ্ধি গতিশীল হতে শুরু করেছে।


বণিক বার্তা