মহামারীর প্রভাবে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলীয় অর্থনীতির সংকোচন হয়েছে রেকর্ড ৭ শতাংশ। আর এর মধ্য দিয়ে প্রায় তিন দশকে প্রথম মন্দায় প্রবেশ করল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রায় ১০ শতাংশ সংকোচনের ফলে মন্দায় পড়েছে লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলও। এর আগে সোমবার ভারত জানায়, এপ্রিল-জুনে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির জিডিপির সংকোচন হয়েছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এ অবস্থায় করোনাকালে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে শুধু চীনই প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে বলা চলে।

মূলত ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্বব্যাপী গৃহীত পদক্ষেপের কারণে আন্তর্জাতিক ও দেশজ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বৃহদাংশ স্থবির হয়ে পড়ে। সরকারগুলো কোটি কোটি ডলারের প্রণোদনা প্রকল্প হাতে নেয়ার পরও মন্দা কিংবা সংকোচনের মুখে পড়ছে একের পর এক দেশের অর্থনীতি। সম্প্রতি এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত অর্থনীতির যে চিত্র প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে বৈ কমছে না। বিশেষ করে গতকাল অস্ট্রেলিয়ার মন্দার খবর ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির গভীরতর সংকটেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, দেশের অর্থনীতির ওপর কভিড-১৯-এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। এ মহামারীজনিত এবারের মন্দা দেশটির টানা ২৮ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতি টানল। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে এর আগে তিন মাসের তুলনায় দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৭ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে এ সংকোচন হয়েছিল শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। পরপর দুই প্রান্তিকের সংকোচন কার্যত অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিকে মন্দায় ঠেলে দিয়েছে।


বণিক বার্তা