চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সর্বোচ্চ সংকোচনের মধ্য দিয়ে গেছে জাপানের অর্থনীতি। নভেল করোনাভাইরাস মহামারী যে ধারণার চেয়েও বড় ধাক্কা দিয়েছে, এ তথ্যে তা উঠে এসেছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি যখন নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তখন অর্থনীতির এ বেহাল দেশটির রাজনীতিবিদদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হবে। খবর রয়টার্স।

অন্যান্য উপাত্তেও বেহাল চিত্র ফুটে উঠেছে। মে মাসে লকডাউন প্রত্যাহার হলেও সার্বিক ভোগে যে মহামারী প্রভাব রাখছে, তা জুলাইয়ের খানা ব্যয় ও মজুরিতে পতনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) সংশোধিত উপাত্তে দেখা গেছে, এপ্রিল-জুনে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি ২৮ দশমিক ১ শতাংশ বার্ষিক হারে সংকুচিত হয়েছে। প্রাথমিক উপাত্তে যেখানে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ সংকোচনের কথা বলা হয়েছিল। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী রেকর্ড সংকোচন রয়টার্সের মধ্যমেয়াদি বাজার পূর্বাভাসের ২৮ দশমিক ৬ শতাংশের কাছাকাছি। উপাত্ত পরিবর্তনের পেছনে প্রধান কারণ ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ মূলধন ব্যয় হ্রাস, যেখানে প্রাথমিক উপাত্তে ১ দশমিক ৫ শতাংশ পতন হয়েছিল। এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে অর্থনীতির বিস্তৃত খাতে কভিড-১৯ মহামারী কেমন প্রভাব রেখেছে।

মিত্সুবিশি ইউএফজে মরগান স্ট্যানলি সিকিউরিটিজের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিরোশি মিয়াজাকি বলেন, আগামী দিনগুলোয় মূলধন ব্যয় বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে না। সামনের দিনগুলো কেমন হবে—এ অনিশ্চয়তার মধ্যে কোম্পানিগুলো তাদের ব্যয় বাড়াবে না।

মঙ্গলবারের উপাত্ত নতুন প্রধানমন্ত্রীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাসীন দল থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাই হবে। অর্থনীতি চাঙ্গায় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তৃত অর্থনৈতিক সহায়তা প্যাকেজ গ্রহণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইওশিহিদে সুগা এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি নির্বাচিত হন তাহলে সরকারি ব্যয় বাড়াবেন।

বণিক বার্তা