চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্ধেকেরও বেশি সংকুচিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি। মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে অভূতপূর্ব এ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে শিল্পসমৃদ্ধ এ দেশ। দেশটির পরিসংখ্যান সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্থনৈতিক সংকোচন হয়েছে ৫১ শতাংশ। খবর এএফপি।

ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মার্চের ২৭ তারিখে কঠোর লকডাউনে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পরই দেশটির সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে, যা ত্বরান্বিত করে গভীর মন্দা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) এ পতনের মূলে রয়েছে নির্মাণ, ম্যানুফ্যাকচারিং ও খনি খাতের সংকোচন। প্রান্তিকটিতে এসব খাতের কার্যক্রম হ্রাস পেয়েছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত।

মূলত দক্ষিণ আফ্রিকায় ভাইরাস আঘাত হানার সময়ই অর্থনীতি মন্দার মধ্যে ছিল। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থনীতির সংকোচন হয়েছিল ২ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় প্রান্তিকেও সংকোচন হলে টানা চার প্রান্তিকে অর্থনৈতিক সংকোচনের মুখে পড়ল দেশটি। ২০০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর এমন পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি।

জুনে অর্থমন্ত্রী টিটো এমবাওয়েসি পূর্বাভাসে জানিয়েছিলেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক সংকোচন হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এমন হলে তা হবে দেশটির অর্থনীতিতে ৯০ বছরের সবচেয়ে গভীর পতন। এদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জিডিপির জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত পর্যটন। লকডাউনের কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকের তিন মাসে বন্ধ ছিল সীমান্ত, পাশাপাশি হ্রাস পায় অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ। একই সঙ্গে দেশব্যাপী হোটেলগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিসংখ্যান সংস্থা জানিয়েছে, এ সময় দেশের রেস্তোরাঁ ও হোটেলে ব্যয়ের পতন হয় ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ।

বণিক বার্তা