যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের লজ্জাজনক সংশোধিত ব্রেক্সিট বিল প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও স্যার জন মেজর। ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমসে লেখা এক নিবন্ধে দেশটির সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।

বর্তমান সরকারের প্রতি অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করে তারা বলেন, ইইউর সঙ্গে গত বছর পৌঁছানো চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের ক্ষমতা দাবি করার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যকে অসম্মানজনক অবস্থানে ফেলা হচ্ছে।

ইন্টারনাল মার্কেট বিল নামের এ বিলটি নিয়ে আজ হাউজ অব কমন্সে বিতর্ক হবে। বিলটি ২০২০ সালের শুরুতে পৌঁছানো ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রত্যাহার চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিলটি আইনে পরিণত হলে ব্রিটিশ মন্ত্রীদের ক্ষমতা থাকবে ব্রিটেন ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে পণ্য পরিবহন বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের। ইইউ ও যুক্তরাজ্য যদি বাণিজ্যিক চুক্তিতে সমঝোতায় পৌঁছতে না পারে, তাহলে ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে।

সাবেক কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী স্যার জন মেজর ও লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার লেখেন, সরকারের এ উদ্যোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন, নীতিগতভাবে ভুল এবং বাস্তবায়নে বিপজ্জনক। তারা আরো বলেন, এতে শুধু আয়ারল্যান্ড নয়, শান্তি প্রক্রিয়া ও বাণিজ্যিক চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রভাব ফেলবে। এটি আমাদের জাতির অখণ্ডতার প্রশ্ন।

ব্রেক্সিট বিরোধিতাকারী এ দু্ই সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের আইনের মতোই চুক্তি মেনে নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারা এমপিদের বিলটি প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান।

তারা আরো লেখেন, মন্ত্রী, আইন কর্মকর্তা ও সরকারি আমলাদের একত্রিত করে সম্মিলিতভাবে কীভাবে চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়টি কীভাবে কোড অব কন্ডাক্টের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে পারে?

জনসনের পূর্বসূরি টেরিসা মেও বর্তমান সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, লন্ডন যদি এখন চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে, তাহলে ভবিষ্যতে কী আন্তর্জাতিক কোনো মিত্র আমাদের ওপর আস্থা রাখবে?

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইরিশ সাগরে একটি কাস্টম সীমান্ত আরোপ করতে চাইছে। এতে করে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। নতুন আইনটি এ কারণে জরুরি হয়ে পড়েছে, যাতে যুক্তরাজ্যের চারটি প্রধান অংশীদারই ভবিষ্যতে নিজেদের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য বহাল রাখতে পারে।

বণিক বার্তা