২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় চীনা বিনিয়োগ প্রায় অর্ধেক কমেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনে বিনিয়োগ কমেছে। গতকাল প্রকাশিত নতুন উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর এএফপি।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) গবেষকরা বলছেন, গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় চীনা বিনিয়োগ পূর্ববর্তী বছরের ৪৮০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারের চেয়ে কমে ২৫০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক পিটার ড্রাইসডেল বলেন, মোট চীনা বিনিয়োগের ১৪৩ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারই গেছে শিশুদের ফর্মুলা দুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেলামিস অস্ট্রেলিয়ায়। চীনের মেংগনিয়ু ডেইরির এ বিনিয়োগ মোট চীনা বিনিয়োগের অর্ধেকের চেয়ে বেশি। ২০১৬ সালে চীনা বিনিয়োগ ১ হাজার ৫৮০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারের রেকর্ড স্থাপনের পর এ নিয়ে টানা তিন বছর ধরে বিনিয়োগ কমছে।

ড্রাইসডেল বলেন, গত বছর চীনের বৈশ্বিক বিনিয়োগ যেখানে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে তার প্রতিফলন ঘটেনি। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষের দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা বিনিয়োগে প্রভাব ফেলেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ পরিবেশ অনিশ্চিত ঠেকেছে চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছে। এ কারণে চীনে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে তারা।

গত জুনে জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত করতে পারে এমন বিনিয়োগ আটকে দেয়া বা প্রত্যাখ্যান করার মতো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে অস্ট্রেলিয়া। পদক্ষেপটি ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাব ঠেকাতেই গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন সবাই।

অস্ট্রেলিয়ার ফাইভ জি কর্মসূচিতে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছে ক্যানবেরা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সুরক্ষার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে—অস্ট্রেলিয় এ দাবি করলেও এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন।

কাঠামোগত পরিবর্তনও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন ড্রাইসডেল। কমোডিটি খাতের চাঙ্গা ভাব দুর্বল হয়ে আসায় মাইনিং ও অন্যান্য সম্পদ খাত থেকে চীনা বিনিয়োগকারীদের সরে আসাও এখানে ভূমিকা রেখেছে।

বণিক বার্তা