ইউটিউব থেকে আয় করতে অনেকেই চান। আয়ের পাশাপাশি চান জনপ্রিয়তাও। কিন্তু কোন পথে এই আয় আসবে বা কেমন ভাবেই বা আসবে, তা অনেকেরই অজানা৷ কেবল আকর্ষণীয় ভিডিও দিলেই যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি জনপ্রিয়তা লাভ করবেন তা কিন্তু নয়৷ এরজন্যও প্রয়োজন নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতির৷
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/248577723.jpeg[/IMG]
১৷ টেকনোলজি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার পিছনে নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্যেই থাকা প্রয়োজন৷ শখ হল আর ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ফেললাম তেমনটা যেন না হয়৷
২৷ ‘কনটেন্ট ইজ দ্য কিং’ একথা সর্বজন বিদিত৷ ফলে ইউটিউব চ্যানেলের কনটেন্ট বা বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন৷ বিষয় সর্বদা আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন বা শ্রুতিমধুর হওয়া গুরুত্বপূর্ণ৷
৩৷ যেকোনও ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের প্রাথমিক শর্ত হল রেগুলারিটি৷ অর্থাৎ, চ্যানেলের অ্যাডমিনকে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট রাখতে হবে৷ প্রয়োজনে চ্যানেল খোলার আগে থেকে দুই বা তিন সপ্তাহের কনটেন্ট আস্তিনে মজুত করে রাখতে হবে৷
৪৷ ভিডিওর কোয়ালিটি অবশ্যই ঝকঝকে হওয়া প্রয়োজন৷ এছাড়া শব্দও পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন৷
৫৷ উক্ত সমস্ত শর্ত ঠিকঠিক ভাবে পূরণ করলে, সহজেই হাজার খানেক সাবস্ক্রাইবার হতে পারে যেকোনও ইউটিউব চ্যানেলের৷ এরপর আসে ওয়াচ আওয়ার বাড়ানোর প্রসঙ্গ৷ টেক বিশারদদের মতে, প্রথম ক্ষেত্রে টার্গেট নেওয়া উচিত যত দ্রুত সম্ভব ওয়াচ আওয়ারের মাত্রা চার হাজার অতিক্রম করার৷
৬৷ এরপরেই ইউটিউবের চ্যানেলের সঙ্গে গুগল অ্যাডসেন্সকে যুক্ত করা যায়৷ তবে এখানেই কাজ শেষ হয় না৷ এরপর যত আকর্ষণীয় ভিডিও চ্যানেলে আপলোড করা হবে ততই চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং চ্যানেলে আসতে থাকবে গুগল অ্যাড৷
৭৷ তবে, কনটেন্ট বা বিষয় আকর্ষণীয় না হলেও রোজগার করা যায় ইউটিউব থেকে৷ এক্ষেত্রে চ্যানেলের ভিডিওটিতে স্পনসরড ভিডিও হিসাবে তৈরি করা যায়৷ উদাহরণ, যদি কোনও খাবার বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল সেরা রেস্তরাঁগুলোকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রস্তুত করে এবং সেই ভিডিও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করে৷ সেক্ষেত্রে রেস্তরাঁগুলোও জনপ্রিয়তা পাবে৷ তখন ইউটিউব চ্যানেলের মালিক রেস্তরাঁগুলো থেকে নির্দিষ্ট অর্থ পেতে পারে৷ তবে এক্ষেত্রে পূর্বেই চুক্তি করে নেওয়া প্রয়োজন৷