তেলের বাজারে গোলযোগ-সৃষ্ট বিপর্যয় এবং করোনা মহামারীর অভিঘাত মিলে সৌদি আরবে বেকারত্ব হার রেকর্ড সর্বোচ্চে উন্নীত হয়েছে। ফলে আগের এক বছর থেকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ।

গত বুধবার দেশটির পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, তেল খাত বার্ষিক ৫ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। অন্যদিকে তেলবহির্ভূত খাতের অধোগতি ঘটেছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

এদিকে দেশটির কর্মসংস্থান সৃষ্টির মূল চালক তেলবহির্ভূত ব্যক্তি খাতের সংকোচন ঘটেছে ১০ শতাংশেরও বেশি। একই সঙ্গে প্রকাশিত শ্রমসংক্রান্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিল-জুন সময় পর্বে দেশটির নাগরিকদের বেকারত্ব হার ১৫ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা গত দুই দশকের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ। সরকার বাস্তবায়িত প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে অনেক সৌদি কর্মীর ৬০ শতাংশ বেতন প্রদান করা সত্ত্বেও দেশটিতে বেকারত্ব হার এখনো ঊর্ধ্বমুখী।

বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ তেল রফতানিকারক দেশটি চলতি বছর দ্বৈত সংকটের মুখোমুখি। একদিকে চলমান মহামারীর বিরূপ প্রভাব, অন্যদিকে জ্বালানি উৎপাদন হ্রাস এবং অপরিশোধিত তেলের নিম্নদাম মিলে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কঠিন করে তুলতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি বছর দেশটির উৎপাদন ৬ দশমিক ৮ শতাংশ কমবে। একই সঙ্গে ২০২১ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে সৌদি অর্থনীতির সবচেয়ে পর্যুদস্ত ক্ষেত্রগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত মার্চ থেকে বাস্তবায়িত কয়েক দফার কারফিউর কারণে, যা মে মাসের শেষের দিকে তুলে নেয়া হয়। পাইকারি, খুচরা, হোটেল, রেস্তোরাঁসংক্রান ত খাতটি ১৮ শতাংশের বেশি সংকুচিত হয়েছে। অন্যদিকে অর্থ, বীমা ও ব্যবসায়িক সেবা অবদমিত হয়েছে কেবল শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

বণিক বার্তা