হ্যাকিং যে সব সময় অনৈতিক, তা নয়। নৈতিক হ্যাকিংয়ের পথে থেকেও লাখ লাখ ডলার আয় করা যেতে পারে। ডিজিটাল রূপান্তরের এ যুগে তাই অনেকেই এথিক্যাল বা নৈতিক পথে থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আয় করছেন। এখন হরহামেশাই শোনা যায় বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সেবা বা সিস্টেমের বাগ (ত্রুটি) শনাক্ত করে লাখ ডলার আয় করছে হ্যাকাররা। খবর ইটি টেলিকম।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপলের কোর সিস্টেমের ৫৫টি বাগ ধরিয়ে দিয়ে মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ ডলার আয় করেছেন একদল হ্যাকার। এসব বাগের মধ্যে ১১টি অত্যন্ত জটিল ছিল বলা হচ্ছে। হ্যাকাররা বাগ কাজে লাগিয়ে তিন মাস ধরে অ্যাপলের সিস্টেম হ্যাকড করে রেখেছিল। মোট ৩২টি পেমেন্টের মাধ্যমে হ্যাকারদের পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ করেছে অ্যাপল।

অ্যাপল সিস্টেমের জটিল বাগগুলো ব্যবহার করে হ্যাকাররা পুরো সিস্টেমের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। এমনকি অ্যাপলের মূল অবকাঠামো থেকে প্রাইভেট ই-মেইল, আইক্লাউড ডাটা ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়।

হ্যাকারদের পক্ষ থেকে অবগত হয়ে ৫৫টি ত্রুটি সারাই করেছে অ্যাপল। এসব বাগের মধ্যে ২৯টি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, ১৩টি ছিল মাঝারি মানের ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২টি ত্রুটি ছিল নিম্নমানের ঝুঁকিপূর্ণ।

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নিরাপত্তা গবেষক স্যাম কারির তথ্যমতে, ৬ অক্টোবর এ বিপুলসংখ্যক ত্রুটির সমাধান আনে অ্যাপল এবং সংশ্লিষ্ট হ্যাকারদের আর্থিক পুরস্কারে ভূষিত করে। অ্যাপলের সিস্টেমে ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে আর্থিক পুরস্কার জিতে নেয়া হ্যাকার তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় ভাভুক জৈন। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে অ্যাপলের কাছ থেকে ১ লাখ ডলারে পুরস্কৃত হয়েছেন।

বণিক বার্তা