গুগল, ফেসবুক ও টুইটারসহ একগুচ্ছ বৈশ্বিক ইন্টারনেট কোম্পানি পাকিস্তান ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ডিজিটাল কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সীমাহীন ক্ষমতা প্রদান এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনাসংক্রান্ নতুন নিয়ম জারির পরদিন ইন্টারনেটভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাকিস্তান ছাড়ার হুমকির তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, পাকিস্তানের সেন্সরশিপ আইনের আওতায় তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলে দেশটিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন হবে। খবর টেকক্রাঞ্চ।

গত সপ্তাহের শেষদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন্স অথরিটিকে (পিটিএ)’ ক্ষতিকর, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অস্থিরতা সৃষ্টিকারক ডিজিটাল কনটেন্ট বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা এবং ব্লক করার ক্ষমতা প্রদান করে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী মন্তব্য, পাকিস্তানের অখণ্ডতা, সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ ডিজিটাল কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয় পিটিএর হাতে।

বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশন (এআইসি) নামের একটি গ্রুপের মাধ্যমে জানায়, তারা পাকিস্তানের নতুন সেন্সরশিপ আইন সম্পর্কে সতর্ক রয়েছে। এ আইন বৃহৎ ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করে কার্যকর করা হয়েছে, যা মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের সমূহ সুযোগ রয়েছে। পাকিস্তানের ওই নতুন সেন্সরশিপ আইনটির নাম হলো ‘রিমুভাল অ্যান্ড ব্লকিং অব আনলফুল অনলাইন কনটেন্ট রুলস ২০২০’, যা পাকিস্তানের প্রিভেনশন অব ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্টের ২০১৬ (পেকা) অধীনে গঠন করা হয়েছে। এআইসির পক্ষ থেকে ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করে নতুন আইন তৈরি ও কার্যকর করার বিষয়ে সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বোর্ডভিত্তিক পরামর্শ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অনলাইনে ক্ষতিকর কনটেন্ট বিষয়ে সিটিজেন প্রোটেকশন রুল ২০২০ জারির সময় বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সমালোচনার মুখে তিনি ওই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এআইসি।

বণিক বার্তা