হাইড্রোজেন ট্রেন এবং ফিলিং স্টেশন বানানোর কাজ শুরু করেছে সিমেন্স মোবিলিটি এবং ডয়চে বান। জার্মানির স্থানীয় রেল নেটওয়ার্কের ডিজেল ইঞ্জিন বাতিল করার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনের পরীক্ষা শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, বৈদ্যুতিক রেলগাড়ি মিরেও প্লাসের ওপর ভিত্তি করে প্রোটোটাইপ ট্রেনটি বানাবে সিমেন্স। একটি ব্যাটারি এবং জ্বালানি কোষগুলো গাড়িতেই হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে বিদ্যুতে রূপান্তর করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দু’টি। সিমেন্স মোবিলিটি প্রধান মাইকেল পিটার বলেছেন, একটি মডিউলার ব্যবস্থায় ব্যাটারি, জ্বালানি কোষ বা ওপরের দিকের বৈদ্যুতিক তারের যেকোনো একটি থেকে শক্তি পাবে ট্রেনটি। এটি নির্ভর করছে ট্রেনটি কোথায় চলছে তার ওপর। ৩৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪০ শতাংশ বৈদ্যুতিক ট্রেনে রূপান্তর করেনি জার্মানির রেলওয়ে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডয়চে বান। এই নেটওয়ার্কে চলছে ১৩০০ ডিজেল ইঞ্জিন চালিত ট্রেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাতীয় জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অনুয়ায়ী দীর্ঘ মেয়াদে রেল সেবাকে কার্বন শূন্য করতে হবে। পিটার বলেছেন, “দীর্ঘ মেয়াদে ডিজেল চালিত ট্রেনকে বদলাতে পারবে আমাদের হাইড্রোজেন ট্রেন।” নতুন প্রোটোটাইপটিতে ১৫ মিনিটে পুনরায় জ্বালানি ভরা যাবে। পিটার আরও বলেছেন, “আমরা ইউরোপে ১০ থেকে ১৫ হাজারের একটি সম্ভাব্য বাজার দেখছি, যা ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বদলাতে হবে, শুধু জার্মানিতেই তিন হাজারের চাহিদা রয়েছে।” প্রতিটি হাইড্রোজেন ট্রেনের দাম হবে ৫০ লাখ থেকে এক কোটি ইউরো।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1710225396.jpg[/IMG]