নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আকাশসেবা, পর্যটন ও আতিথেয়তা খাত। গত ডিসেম্বরে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। কাজ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। বিভিন্ন দেশের পর্যটন শিল্পও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এশিয়ায় অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ মালয়েশিয়ার জন্যও তা সত্য।

গত কয়েক মাসে মালয়েশিয়ায় পর্যটক একেবারে নেই বললেই চলে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর—এই নয় মাসে দেশটিতে পর্যটকের আনাগোনা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ। খবর বেরনামা।

মালয়েশিয়া ট্যুরিজম প্রমোশন বোর্ড বা ট্যুরিজম মালয়েশিয়া সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে পর্যটক এসেছে ৪২ লাখ ৯০ হাজার। তার তুলনায় গত বছর একই সময়ে দেশটিতে পর্যটক এসেছিল ২ কোটি ১০ হাজার।

ট্যুরিজম মালয়েশিয়া বলছে, কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৮ মার্চ নেয়া লকডাউন ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধের ফলে পর্যটক আগমন কমেছে।

চলতি বছর পর্যটন খাতে আয় কমেছে ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে পর্যটন খাতে আয় ছিল যেখানে ৬ হাজার ৬১০ কোটি রিঙ্গিত, সেখানে চলতি বছরে তা ১ হাজার ২৬০ কোটি রিঙ্গিতে দাঁড়িয়েছে।

পর্যটন খাতে নিম্নমুখী প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাথাপিছু পর্যটক ব্যয়ও কমেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ হার কমেছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি বছর পর্যটকপ্রতি মাথাপিছু ব্যয় ছিল ২ হাজার ৯৩৮ রিঙ্গিত, যা আগের বছর ছিল ৩ হাজার ২৮৯ রিঙ্গিত।

যে দেশগুলো থেকে মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে, তার মধ্যে শীর্ষ দশ দেশ হচ্ছে সিঙ্গাপুর (১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৭), ইন্দোনেশিয়া (৭ লাখ ১০ হাজার ১১৮), চীন (৪ লাখ ৩ হাজার ৫৫), থাইল্যান্ড (৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৫), ভারত (১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৮), ব্রুনেই (১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪৮), দক্ষিণ কোরিয়া (১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৪), জাপান (৭৩ হাজার ৮৯১), অস্ট্রেলিয়া (৭২ হাজার ৩৬৯) ও ফিলিপাইন (৬৫ হাজার ৬০১)।

বণিক বার্তা