নয় মাসের উত্তেজনাপূর্ণ দরকষাকষির পর বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ব্রেক্সিট-উত্তর বাণিজ্য চুক্তিতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। তবে দুই পক্ষের এই সমঝোতা কোনো কোনো তৃতীয় পক্ষকেও স্বস্তি দিয়েছে। সে তালিকায় আছে জাপানের মোটরগাড়ি নির্মাতারাও। খবর কিয়োদো।

এর আগে জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারকরা হুমকি দিয়ে বলেছিল, যদি শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি না হয় এবং ইইউতে রফতানিতে যদি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে তারা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। কিন্তু চুক্তির পর এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এটা মোটরগাড়ি শিল্পসহ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা এনে দেবে।

এ সময় ইইউকে উদ্দেশ করে জনসন বলেন, আমরা আপনাদের বন্ধু, সহযোগী ও সমর্থক হয়ে থাকতে চাই এবং আপনাদের এক নম্বর বাজার হয়েও থাকতে চাই।

এখন অংকের হিসাবে এ চুক্তির মূল্য হবে বছরপ্রতি ৬৬০ বিলিয়ন পাউন্ড (৮৯৫ বিলিয়ন ডলার)। পাশাপাশি পণ্যগুলোয় শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশও বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

এদিকে মোটর ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ট্রেডার্সদের সংগঠনের প্রধান নির্বাহী মাইক হাওয়েসও এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলেছেন, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে একটি প্লাটফর্ম প্রদান করবে।

যদিও তিনি বলেছেন, নিয়মগুলো আরো বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন। যেখানে মুক্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শূন্য শুল্কের সুবিধা পেতে যথেষ্ট পরিমাণ স্থানীয় পণ্য যেন থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন এবং পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণমূলক সহযোগিতাও।

মোটরগাড়ি শিল্প অবশ্য এ মুহূর্তে রুলস অব অরিজিনের (এটি বিশেষ বাণিজ্য আইন বা চুক্তিকে বোঝায়, যা পণ্যের প্রতি তার মূল উৎস বিবেচনায় নিয়ে ভিন্নভাবে আচরণ করে) প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছে।

সরকারি নথি বলছে, এ চুক্তি আধুনিক রুলস অব অরিজিনকে নিশ্চিত করেছে এবং যে বৈদ্যুতিক যানগুলো যুক্তরাজ্যে প্রস্তুত করা হয়, তা পছন্দসই শুল্ক হারের জন্য বিবেচিত হবে।

বণিক বার্তা