স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ডিসপ্লে নির্মাণ বিভাগ ‘স্যামসাং ডিসপ্লে’, যা ‘লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে’ বা এলসিডি প্যানেল উৎপাদন চালু রাখার কথা জানিয়েছে। বাড়তি কত সময়ের জন্য এলসিডি প্যানেল উৎপাদন অব্যাহত থাকবে, তা নির্ভর করবে বৈশ্বিক চাহিদার ওপর। এর আগে গত মার্চে এলসিডি প্যানেল উৎপাদন স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি, যা চলতি বছর শেষ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। খবর রয়টার্স।

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট চলমান কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষের মধ্যে টিভি, কম্পিউটার মনিটর ও হোম এন্টারটেইনমেন্ট ডিভাইসের চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড ক্রমবর্ধমান গ্রাহক চাহিদা পূরণে মোবাইল কম্পিউটিংয়ের পাশাপাশি হোম এন্টারটেইনমেন্ট ডিভাইসের উৎপাদন জোরদার করছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলমান মহামারীর নতুন বাস্তবতায় আকস্মিক চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলসিডি প্যানেলের উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্যামসাং।

গত মার্চে এক ঘোষণায় এলসিডি প্যানেল উৎপাদন কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল স্যামসাং ডিসপ্লে, যা চলতি বছর শেষ থেকে কার্যকর হওয়ার তথ্য দেয়া হয়েছিল। এলসিডি প্যানেল বাজার খারাপ সময় পার করছে। এরই অংশ হিসেবে গত বছর অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিজেদের একটি এলসিডি প্যানেল উৎপাদন কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছিল স্যামসাং ডিসপ্লে। বিশ্বজুড়ে এলসিডি প্যানেলের চাহিদা হ্রাস এবং সরবরাহ আধিক্যের কারণে উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছিল।

গত মার্চে এলসিডি প্যানেল উৎপাদনকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়ে স্যামসাং ডিসপ্লের বিবৃতিতে বলা হয়, বাড়তি কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হলে ক্রেতাদের কাছ থেকে এলসিডি প্যানেল সরবরাহের যে ক্রয়াদেশ গ্রহণ করা হয়েছে, তা চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই সরবরাহ করা হবে। তবে নতুন করে এলসিডি প্যানেল সরবরাহের আর কোনো ক্রয়াদেশ নেয়া হবে না।

আইফোন নির্মাতা অ্যাপল ইনকরপোরেশনের অন্যতম এলসিডি প্যানেল সরবরাহকারী স্যামসাং ডিসপ্লে। গত বছর শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নতুন আঙ্গিকের আরো উন্নত ‘কোয়ান্টাম ডট’ ডিসপ্লে উৎপাদনে বিদ্যমান কারখানা এবং একটি উৎপাদন লাইন হালনাগাদে ১ হাজার ৭২ কোটি ডলার (১৩ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ওন)

বণিক বার্তা