গত বছর মহামারীকালীন ব্রিটিশ নাগরিকরা কম খরচ করেছে এবং অধিক সঞ্চয় করেছে। বিশেষ করে লকডাউনে ঘরে থাকা এবং পাব ও বিনোদনের কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এটি সম্ভব হয়েছে। বার্কলেকার্ডের সমীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রাহকদের খরচ কমেছে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। এখানে মূলত ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিড কার্ড দুটোকেই বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। খবর বিবিসি।

এ সময়ের মধ্যে জরুরি পণ্য কেনাকাটায় খরচ বেড়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। যেখানে সাধারণ মানুষ স্থানীয় বাজার থেকে কেনাকাটা করায় স্বাধীন ব্যবসায়ীরা অধিক লাভবান হয়েছেন। অ্যালডেরমোর ব্যাংকের আরেকটি জরিপ বলছে, পাশাপাশি ঘরে বসে কাজ করার কারণে ব্রিটিশরা সপ্তাহে বাঁচাতে পেরেছে ১১০ পাউন্ড।

বার্কলেকার্ডের কনজিউমার প্রডাক্টের প্রধান রাহেল আহমেদ বলেন, ২০২০ সাল অনেক প্রবণতার গতি ত্বরান্বিত করেছে। ই-কমার্স দারুণ প্রবৃদ্ধি দেখেছে। ঘর বসে কাজ করার অর্থ হচ্ছে অনেক মানুষ স্থানীয়ভাবে কেনাকাটা করেছে।

বছরজুড়ে অনলাইনে মুদি কেনাকাটা বেড়েছে ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত এবং এটা হয়তো সামনের দিনগুলোয়ও মানুষের অভ্যাসে পরিণত হতে যাচ্ছে। এছাড়া জ্বালানির পেছনে সাধারণত যা ব্যয় করা, তা হ্রাস পেয়েছে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ। যে কারণে পেট্রল পাম্পগুলোয় মূল্যও হ্রাস পেয়েছে।

এদিকে কাপড়চোপড় কেনাকাটার ক্ষেত্রে খরচ হ্রাস পেয়েছে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মূলত ঘরে বসে কাজ করা এবং বছরজুড়ে তেমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় এ হ্রাস দেখা গেছে।

বণিক বার্তা