ব্রিটেনের পুরো খানা সম্পদের প্রায় এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণ দেশটির ১ শতাংশ অতি ধনীর হাতে। নতুন এক গবেষণায় উদ্বেগজনক বৈষম্যের এ চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ ব্রিটিশের কাছে সরকারি পরিসংখ্যানের প্রস্তাবিত সম্পদের চেয়ে প্রায় ৮০ হাজার কোটি পাউন্ডেরও বেশি মূল্যের সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ আগের ধারণার চেয়ে বৈষম্যের চিত্র আরো অনেক গভীর। খবর গার্ডিয়ান।

গবেষকরা বলেছেন, অতিরিক্ত সম্পদের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল অনুমান করা হয়েছে এবং এটি আরো বেশি হতে পারে। গবেষণাটিতে মন্ত্রীদের প্রতি একটি নতুন সম্পদ কর কিংবা ধনীদের ওপর বিদ্যমান কর ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য সংস্কার আনার বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফলে অতি ধনীরা করোনা মহামারী বিপর্যয় এবং বার্ধক্যজনিত জনগণের ব্যয় মোকাবেলায় আরো বড় ভূমিকা নিতে পারবে। এছাড়া উচ্চমূল্যের বাড়িগুলোয় আলাদা সম্পদ কর ব্যবস্থা ‘ম্যানশন কর’ চালু করার দাবিও উঠেছে।

থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান রেজুলেশন ফাউন্ডেশনের গবেষকরা জানিয়েছেন, অতি ধনী পরিবারগুলোর অধীনে থাকা মোট সম্পদের প্রায় ৫ শতাংশ সরকারি হিসাব থেকে বাদ পড়েছে। সানডে টাইমস রিচ লিস্টের তথ্যের সঙ্গে ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের সংকলিত সরকারি পরিসংখ্যানের তুলনা করে থিংক ট্যাংকটি বাদ পড়া সম্পদ আবিষ্কার করেছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, সরকারি তথ্যে অতি ধনী পরিবারের সম্পদের হিসাবে অনেক কিছু বাদ পড়েছিল। অতি ধনীদের মালিকানাধীন নতুন আবিষ্কৃত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ যুক্তরাজ্যের মোট সম্পদের অংশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। অংকের হিসাবে এটি যুক্ত করে অতি ধনীদের সম্পদ মোট সম্পদের ১৮ থেকে ২৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

বণিক বার্তা