চীনের রাস্তাগুলোয় ২৭ কোটির বেশি গাড়ি থাকলেও ২০১৯ সালে মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ ব্যবহূত বা সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি বিক্রি হয়েছে; যা কিনা অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের একেবারেই উল্টো, যেখানে মানুষ নতুন গাড়ি কেনার চেয়ে ব্যবহূত এবং পুরনো গাড়ি কিনতেই বেশি অভ্যস্ত। নীতিনির্ধারকরা এখন এই অবস্থা বদলাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ফলে এখন চীনের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে নিজেদের সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির বাজারকে দ্বিগুণ করে ২ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৩০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্য অর্জনে বেইজিং ব্যবহূত গাড়ির ব্যবসায়ীদের করও কমিয়ে দিচ্ছে। গত মে মাসে ৩ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। যেখানে নতুন গাড়ির জন্য দিতে হয় ১৭ শতাংশ কর।

পাশাপাশি লাইসেন্স প্লেট ছাড়াই ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিবর্তে পণ্য হিসেবে এগুলোকে শ্রেণীবদ্ধ করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীদের নিজেদের মাঝে বেচাকেনা সহজ হয়। চীনা অটোমোবাইল ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএডিএ) শিয়াও জেনগসান বলেন, ব্যবহূত গাড়ির ব্যবসা এখন একেবারে নতুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। খাতটিতে আমরা আরো ইতিবাচক নীতির দেখা পাব।

চীনের বড় আকারের ব্যবহূত গাড়ির বাজার না থাকার দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, সব মিলিয়ে চীনের গাড়ির বাজার তুলনামূলকভাবে নতুন। ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত এখানে কোনো বিদেশী যৌথ উদ্যোগের অস্তিত্ব ছিল না। ফক্সওয়াগন এজি ও এসআইসি মোটর গ্রুপের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ২০০০ সালের পর থেকে বিক্রি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এখনো গাড়ি মালিকানার দিকে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ থেকে পিছিয়ে আছে। চীনে এক হাজার মানুষের মাঝে কেবল ১৭৩ জনের গাড়ি রয়েছে। যেখানে মালয়েশিয়ায় সংখ্যাটি ৪৩৩ এবং রাশিয়ায় ৩৭৩। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় সেই সংখ্যাটি ৮৩৭ ও ৭৪৭। আবার চীনে অনেক মানুষ এখনো তাদের প্রথম কেনা কারটিই ব্যবহার করছে।

বণিক বার্তা